ঊষার আলো প্রতিবেদক : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার ঘণ্টা বাজবে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মহালয়ার মধ্য দিয়ে। ১ অক্টোবর শুরু হবে মূল পূজামÐপ যা ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। কোভিড -১৯ এর কারণে গেল দুটি বছর সীমিত পরিসরের আয়োজনে উৎসব ছিল মলিন।
দেবী দুর্গা যে আসবেন তা জানান দেয় মহালয়া। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে দেবীর আবাহনেই শুরু দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা। আর মহালয়ার ছয়দিন পরেই শুরু হবে দেবীর আরাধনা। চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহন করবেন অনুসারীরা। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী এবার আসবেন গজে চড়ে, বিদায় নিবেন নৌকায় চড়ে। মহালয়ার পাঁচদিন পর বোধনের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী পালিত হবে।
পিতৃপক্ষের শেষ দিনটিকে মহালয়া বলা হয়। সেই হিসেবে আজ মহালয়া। এ দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। প্রচলিত আছে, মৃতব্যক্তির মৃত্যু তিথি জানা না-থাকলে এদিন তর্পণ করা যেতে পারে। এদিন সকলেই তর্পণ করতে পারেন। কৃষ্ণপক্ষের সমাপ্তি এবং শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনার আগের অমাবস্যাকে মহালয়া বলা হয়। তবে কেন পিতৃপক্ষের শেষে অমাবস্যার দিনটিকে মহালয়া বলা হয়, সে বিষয় নানা মত প্রচলিত রয়েছে।
পুরান মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনও মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্বব্রহ্মাÐের অধীশ্বর হতে চায়।
এবার সারা দেশে এবার ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামÐপে উদযাপন করা হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এবার গত বছরের চেয়ে ৫০টি মÐপ বেশি। সব মÐপেই নিরাপত্তা নিয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এসব তথ্য জানিয়েছে।
পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, গত বছর সারা দেশে দুর্গাপূজার সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১১৮টি। এবার এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১৬৮টি। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৪১টি, যা গত বছরের থেকে ৬টি বেশি।