২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। নকলমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরীক্ষা চালাকালে হল পরিদর্শকের দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। থাকছে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা। এবার অতিরিক্ত পাশের হার ও জিপিএ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই। পরীক্ষার উত্তরপত্র যথাযথ মূল্যায়ন করে নম্বর কমবেশি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। থাকবে না গ্রেস মার্কও। পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি, ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা চলাকালে টানা ৩৪ দিন সারা দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। রাজধানীর পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিএমপি। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে হচ্ছে। অংশ নিচ্ছে ১৯ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত বা তত্ত্বীয় অংশ শেষ হবে ১৩ মে। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। এরপর ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। অন্যদিকে নবম-দশম শ্রেণির গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা বোর্ড থেকেই ঝরে গেল ৪ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ ও ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। ৯টি বোর্ডে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি। ১৮ হাজার ৮৪টি স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন, ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৯ হাজার ৬৩টি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন। তবে এবারও মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে মঙ্গলবার বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। কমিটি জানিয়েছে, পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব, নকল বা অন্য কোনো অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্রে যা লিখবে সেভাবেই মার্কিং করা হবে। সেখানে নম্বর কমিয়ে বা বাড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। এ ছাড়া কোনো গ্রেস মার্কও রাখা হবে না। এবার পাশের হার ও জিপিএ বাড়ানোর কোনো চিন্তাভাবনা নেই। এবার আমরা মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করতে চাই।
ঊষার আলো-এসএ