ঊষার আলো রিপোর্ট : শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) অথবা ফ্যান এসব কৃত্রিম উপায় ছাড়াও শরীর ঠান্ডা রাখা যায়। এতে বাঁচে বিদ্যুৎ খরচ। শরীরও স্বাভাবিক থাকে।
এরমধ্যে হিট স্ট্রোক, হিট এডিমা বা গরমে হাত পা ফুলে যাওয়া, খিঁচুনি হওয়া বা পেশিতে টান পড়া এ জাতীয় লক্ষণ দেখা যায়। কিছু পন্থা জানা থাকলে দেহ যেমন শীতল রাখা যায় তেমনি ঘরের গরম পরিবেশও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
ঠান্ডা পানিতে গোসল: শীতল পানিতে গোসল করার মাধ্যমে দেহের সার্বিক তাপমাত্রা কমানো যায়। এতে মিন্টধর্মী কোনো সাবান ব্যবহার করা যায়। আবার পেপারমিন্ট তেল ব্যবহার করলে এতে মেন্থল থাকায় মস্তিষ্কে শীতল অনুভূতি পাঠায়। ফলে দেহ মনে প্রশান্তি আনে।
ঘর পর্দায় আবৃত রাখা: সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যেদিকে বেশি রোদ পড়ে সেদিকের জানালার পর্দা টেনে রাখতে হবে । রোদের তাপ সরাসরি যাতে ঘরে না ঢুকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। আর এসি ব্যবহার করলে উচ্চ তাপমাত্রায় এসি ছেড়ে রাখতে হবে। এতে আরাম মিলবে। কারণ তাপমাত্রা কমিয়ে এসি ছাড়লে ঘরের ভেতরটা ঠাণ্ডা করতে বেশি সময় নেবে ফলে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে।
ঠান্ডা কিছু খাওয়া: ঠান্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম, ফালুদা তাৎক্ষণিকভাবে দেহ ঠাণ্ডা করতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে বেশি মিষ্টি মিশ্রিত ঠাণ্ডা খাবার এড়াতে হবে। কারণ চিনি দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই আইসক্রিম খাওয়া হয়ত সাময়িক সময়ের জন্য আনন্দদায়ক কিন্তু পরবর্তীতে অশান্তিকর। তাই মধু দিয়ে ঠাণ্ডা লেমন মিন্ট বা লেবুর সরবত পান করলে দেহ ঠান্ডা থাকবে ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম হবে।
সকালের রান্না অল্প আঁচে করা: সকালের মধ্যে সারাদিনের রান্না শেষ করে ফেলতে পারলে পরে ঘরে কিছুটা হলেও গরম কম থাকবে। কারণ দিনের শুরুতে গরম কম থাকে। তাই রান্নাঘরের উত্তাপ কম ছড়াবে। আর ওভেনের তাপ সারা ঘরে বেশি ছড়ায়। তাই চুলায় অল্প আঁচে খাবার গরম করার চেষ্টা করতে হবে।
ঠাণ্ডা ভাপ দেওয়া: হাতে বা ঘাড়ে আইস ব্যাগ দিয়ে ঠাণ্ডা ভাপ দেওয়া বা ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছলে শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি হয়। কারণ এসব ‘পাল্স বা নাড়ীর জায়গায় থাকা রক্তের শিরা ত্বকের খুব কাছাকাছি থাকে, যে কারণে দ্রুত দেহ ঠাণ্ডা হতে পারে।
এলইডি বাল্ব ব্যবহার: জ্বালানি সাশ্রয়ী আলো ব্যবহার করলে ঘরের ভেতর গরম কম লাগে। অন্যান্য বৈদ্যুতিক আলোর তুলনায় এলইডি বাল্বে তাপ উৎপন্ন হয় কম।
এক্সজস্ট ফ্যান ব্যবহার: রান্নাঘর বা বাথরুমের গরম বাতাস বের করে দেওয়ার জন্য এক্সজস্ট ফ্যান ব্যবহার করা উপকারী।
ঊষার আলো-এসএ