ক্রীড়া ডেস্ক :মন্থর উইকেটে ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে অপরাজিত ২৬ আর বোলিংয়ে ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক শেখ মাহেদী হাসান। তার অমন কিপটে বোলিংয়ের কারণেই ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ।
বাকি বোলাররা যেখানে হাত খুলে খরচ করেছেন সেখানে ব্যতিক্রম মাহেদী। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সঙ্গে ক্যারিবীয়দের শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়েছেন এই স্পিনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজে কীভাবে এতটা সফল হলেন তিনি। ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে তুলে সেই গোমর ফাঁস করেছেন মাহেদী।
কিংসটাউনে সাফল্য পাওয়ার পেছনে সম্প্রতি গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার অভিজ্ঞতার কথা বলেন তিনি। যেখানে রংপুর রাইডার্সকে শিরোপা জেতাতে ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার করেন মাহেদী। প্রতি ম্যাচেই ছিলেন যথেষ্ট ইকোনোমিকাল। আর সেই অভিজ্ঞতায় যে কাজে দিয়েছে সেটাই জানালেন মাহেদী।
নিজের বোলিং নিয়ে মাহেদী বলেন, ‘আমি সোজা উইকেট বরাবর বল করার চেষ্টা করেছি। প্রসেস ঠিক রাখতে কাজ করছি। আমি এই উইকেটটি উপভোগ করেছি। আমি এর আগে গ্লোবাল সুপার লিগে খেলেছি। যা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।’
শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে শামীম হোসেনকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মাহেদী। নিজেও দলের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাইয়ে দিতে ২৪ বলে ২৬ রান করেন। অন্যদিকে ১৩ বলে ২৭ রান করে শামীম। যা বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো পুঁজি পাইয়ে দিয়েছে। যে কারণে শামীমের প্রশংসাও করেন মাহেদী।
বলেন, ‘শামীম খুব ভালো ইনিংস খেলেছে। তার ইনিংসটি আমাদের দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি শামীমের সাথে জুটি গড়তে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।’
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফের মুখোমুখি হবে দু’দল।
ঊষার আলো-এসএ