UsharAlo logo
সোমবার, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘ওসি প্রদীপ যুগে’ ফিরছে উখিয়া-টেকনাফ!

usharalodesk
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট :  কক্সবাজারে র‌্যাব-১৫ এর এএসপি হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ঘুস গ্রহণ, চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাকারবারিদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধাগ্রহণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, হাফিজুর রহমান পবিত্র পোশাকের শপথ ভঙ্গ ও র‌্যাবের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।

এছাড়া ডাকাতি ও মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, রাতের অন্ধকারে তল্লাশির নামে নিরীহ মানুষের ঘরে লুটপাট, নিরীহ ব্যক্তিদের আটক করে মুক্তিপণ আদায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপহরণ, স্বর্ণ চোরাকারবার এবং ইয়াবা সিন্ডিকেটকে অর্থের বিনিময়ে নির্বিঘ্নে অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দেন র‌্যাবের এই পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া হাফিজের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষকে ঘরছাড়া করা, টাকা না পেলে পিটিয়ে হত্যা এবং গুমের মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে।

এএসপি হাফিজের এসব কর্মকাণ্ড টেকনাফের সাধারণ মানুষের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এটিকে ‘ওসি প্রদীপ যুগে’ ফিরে যাওয়া হিসাবে দেখছেন।

অভিযোগের বিষয়ে এএসপি হাফিজ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টিকে তিনি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হচ্ছে-হিসাবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তার সহযোগীরা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য এই প্রতিবেদককে কোটিপতি করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার হিসাবে দায়িত্বরত এএসপি হাফিজ সাবেক ওসি প্রদীপ স্টাইলে মাদক ব্যবসায়ী ও দাগি সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি পৃথক বাহিনী গড়ে তুলেছেন। সূত্র বলছে, র‌্যাবে তার অধীনে কর্মরত এসআই ইউসুফ এ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে লেনদেন ও যোগাযোগের দায়িত্ব পালন করেন। এসব বাহিনীর সদস্যরা উখিয়া-টেকনাফের প্রায় সব মাদক কারবারির তালিকা করে তাদের কাছে চাঁদা আদায় করছে।

ধরে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় : এসএসপি হাফিজুর রহমান আর তার লালিত বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় পঙ্গু হয়ে গেছেন ৫৫ বছর বয়সি নুরুল আলম। তিনি দিনমজুরি করার পাশাপাশি ট্রলি গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্যং ৮ নম্বর ওয়ার্ড মহেশখালী পাড়ায়।

নুরুল আলম বলেন, ছয় মাস আগে একদিন সকালে র‌্যাবের এএসপি হাফিজুর রহমান ও এসআই ইউসুফসহ র‌্যাবের কয়েকজন সদস্য তাকে ধরে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে মারধর শুরু করেন। তখন তাকে বলা হয়, ইয়াবা দিতে হবে বা টাকা দিতে হবে। এ সময় এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী দালাল মোস্তাক, লালু, গফুর ডালিয়াসহ আরও কয়েকজন সহযোগী ছিলেন। পরে নিরুপায় হয়ে তিনটি গরু বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে ৬ লাখ টাকা ঋণ করে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

একই এলাকার সানোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, তার ভাতিজা খোকনকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে ব্যাপক মারধরের পর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়েছেন এএসপি হাফিজ ও তার এসআই ইউসুফ। তিনি বলেন, মোস্তাক, লালু, বাদশা মেম্বার, গফুর, মান্নানসহ আরও কয়েকজনের মাধ্যমে এ টাকা আদায় করা হয়। সানোয়ারার দাবি, র‌্যাব ওই এলাকা থেকে কখনো কোনো সন্ত্রাসী বা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে অভিযান চালায় না। ধরলেও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। তাদের মাসিক টাকা দিতে গিয়ে অনেক ভালো মানুষ ইয়াবা ব্যবসা করছে বলে দাবি তার। একই ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন আরও অন্তত অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী পরিবার। তবে তারা হাফিজের ভয়ে এখনই মিডিয়ায় নাম প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন না।

এদিকে, হাফিজের ডেরায় ধরে নিয়ে দাবি করা ৩০ লাখ টাকা দিতে না পারায় বিগত দুই বছরেও আর বাড়ি ফেরেননি টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা যুবক মোং কায়সার। গুমের শিকার কায়সার ওই এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান র‌্যাব সদস্যরা। সম্প্রতি মৌলভীবাজার এলাকায় জামাল নামে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে মাদকের তকমা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে এএসপি হাফিজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এসএসপি হাফিজের হুমকিতে পিছিয়ে যায়। পরে মোটা অঙ্কের টাকা পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবারটির সূত্র।

বাড়িতে লুটপাট ও মিথ্যা মামলা : টেকনাফের দুটি গ্রামে সরেজমিন গিয়ে এসএসপি হাফিজ ও তার দালাল বাহিনীর দ্বারা বাড়িঘর লুটপাট ও ভাঙচুরের প্রমাণ মিলেছে। এলাকাবাসী জানান, ৩০ আগস্ট শুক্রবার দুপুর ২টায় শামসুল আলম নামের এক মাদক কারবারিকে হৃীলা বাজার থেকে ধরে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য তার বাড়ি মহেশখালী পাড়ায় হানা দেয় র‌্যাব। কিন্তু ইয়াবা না পেয়ে বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে নারীদের শরীরে হাত দেন চিহ্নিত দালালদের কয়েকজন। এ সময় নারীদের চিৎকারে সাধারণ মানুষ জড়ো হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ধৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের ওপর হামলার চেষ্টা করে দুষ্কৃতিকারীরা। এদিকে, র‌্যাবের ওপর হামলায় জড়িতদের টাকার বিনিময়ে বাদ দিয়ে দালালদের তালিকা অনুযায়ী এলাকায় নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মামলা ও সাধারণ মানুষের বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসএসপি হাফিজ নিজে এসব নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। এ সময় অনেককে অস্ত্র ও কিরিচ হাতে দেখা গেছে, যার ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।

ছৈয়দ আলম নামের এক প্রবাসীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন হাফিজের নেতৃত্বে কয়েকজন র‌্যাব সদস্য ও দালালরা মিলে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঘরের ভেতরের শোকেস, আলমিরা, আসবাবপত্র, জানালা ও কাচের দরজা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম বলেন, ৩০ আগস্ট শুক্রবার হঠাৎ এসএসপি হাফিজ ও তার দালালরা আমার বাড়ি ভাঙচুর করে সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণ ও প্রায় লাখের কাছাকাছি টাকা নিয়ে গেছে। আসামি করা হয়েছে স্কুলে পড়ুয়া ছেলে টিপুকে।

চিহ্নিত দালাল মোস্তাক, লালু, বাদশা মেম্বারসহ কয়েকজন অস্ত্র হাতে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি আনোয়ারার। নুর জাহানের ৬০ বছরের বৃদ্ধ স্বামী কালামিয়া, যিনি ইতোমধ্যে এক চোখ হারিয়েছেন, তাকেও আসামি করা হয়েছে। অথচ তিনি সারা দিন বাড়ি আর মসজিদে নামাজ-কুরআন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী। তার ছেলে মাহাদাত হোসেনকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। এসব অপকর্মের সমর্থন না করায় হামলা-মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করা হয়েছে ওই এলাকার মো. ইসমাইলসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষকে। ইসমাইল বলেন, ৩০ আগস্ট র‌্যাবের ওপর হামলা হয়েছে মর্মে একটি মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। অথচ ওইদিন রাতে আমরা ফেনী থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে রাত ১০টায় রওয়ানা দিয়ে সকালে কক্সবাজারে পৌঁছি। ১১টায় একটি হোটেলে উঠি। সেখান থেকে নেপাল থেকে আসা আমার শ্যালক জাতীয় ফুটবলার ইফাতকে দুপুর ১টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে রিসিভ করে, জুমার নামাজের পর হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করি এবং সাড়ে ৪টার দিকে এলাকায় পৌঁছাই।

বাধ্য হচ্ছেন মাসোয়ারা দিতে : ভুক্তভোগীদের পরিবারের অভিযোগ, আটকে রেখে মুক্তিপণ না পেয়ে নুরুল আলম, কায়সার, সলিম সাদেকসহ আরও কয়েকজনকে বিভিন্ন সময় ইয়াবা ও অস্ত্র মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে। প্রথমে তাদের ধরে নিয়ে দালাল মোস্তাকের মাধ্যমে টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারায় কয়েকদিন পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। টাকা না দিলে ধরে নিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে অনেকে ইয়াবা ব্যবসা করছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপরাধীদের সহযোগিতা : একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপহরণ, স্বর্ণ চোরাকারবার এবং ইয়াবা সিন্ডিকেটকে অর্থের বিনিময়ে নির্বিঘ্নে অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দেন এএসপি হাফিজ। এসআই ইউসুফ ও দালাল মোস্তাক, মান্নাসহ আরও কয়েকজনের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে টাকা তোলার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব বিষয়ে জানেন এমন কয়েকজন জানান, হত্যা ও মাদকসহ দুই ডজন মামলার আসামি ও টেকনাফের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী বাহিনী রঙ্গিখালীর আনোয়ার বাহিনীর প্রধান আনোয়ার ওরফে লেড়াইয়া ডাকাতের কাছ থেকে মাসিক ১৫ লাখ টাকা নেন হাফিজ। এ কারণেই দিনদুপুরে ঘোষণা দিয়ে খুন ও প্রতিদিন অপহরণ-মুক্তিপণ আদায় করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন আনোয়ার ও তার বাহিনীর সদস্যরা। গত বছর কয়েক দফায় শতাধিক অস্ত্র প্রদর্শন করে দেশব্যাপী আলোচনায় এসেছিল আনোয়ার বাহিনী। একইভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অন্তত ৬ থেকে ১০টি বাহিনীকে আগলে রাখার অভিযোগ রয়েছে হাফিজের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সদ্য বদলি হওয়া টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, আনোয়ারকে ধরা খুব কঠিন। তার বেতনভুক্ত অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন পাহারাদার সোর্স রয়েছে। তারা পুলিশ আসার আগেই তাকে সতর্ক করে সরিয়ে নেয়।

এসএসপি হাফিজের খুঁটির জোর : সূত্র বলছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান জ্যোতি ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুজ্জামানের সঙ্গে এসএসপি হাফিজের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনেকেই কথা বলতে ভয় পান। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপের স্টাইলে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন এএসপি হাফিজুর রহমান। দালাল হিসাবে আলোচনায় আসা মোস্তাক, বাদশা মেম্বার, আবদুল মান্নান তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাক বলেন, সব অভিযোগ সত্য নয়। আর আপনারা এসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা মানে ইয়াবা কারবারিদের পক্ষ নেওয়া। তার চেয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন, আমরাও আপনাকে সহযোগিতা করব। আপনিও কোটিপতি হতে পারবেন। বাড়ি লুটপাট ও ভাঙচুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওইসব ইয়াবা কারবারি ও র‌্যাবের ওপর হামলাকারীদের বাড়ি ছিল। এসআই মো. ইউসুফের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি চাইলে আপনার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিতে পারি। সব অভিযোগ উল্লেখ করে জানতে চাইলে র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি হাফিজুর রহমান বলেন, এসব অভিযোগ নিয়ে আমি কথা বলতে রাজি নই। আর আপনি এসব নিয়ে কথা বলা মানে ইয়াবা কারবারি, অপরাধীদের পক্ষ নেওয়া। যদিও এরপর একাধিকবার প্রতিবেদকের সঙ্গে বসতে চান জানিয়ে সংবাদ না করার জন্য প্রস্তাব দেন এসপি হাফিজুর রহমান। দালালদের মাধ্যমে প্রস্তাব আসে সহযোগিতা করলে কোটিপতি করে দেওয়ার।

এএসপি হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবগত করা হলে র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এসব অভিযোগ আমাকে আগে কেউ জানায়নি। যেহেতু আপনি অনেক অভিযোগ নজরে এনেছেন, আমি দ্রুত যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ঊষার আলো-এসএ