ঊষার আলো ডেস্ক : স্বাধীনতার কবি শামসুর রাহমানের ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট এই দিনে তিনি প্রয়াত হন।
তার সৃষ্ট, স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান/ স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ,/ সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা- স্বাধীনতা তুমি শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা/ স্বাধীনতা তুমি পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল।/ স্বাধীনতা তুমি ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি। বাঙালি চেতনায় আজো নাড়া দিয়ে যায়।
সাহসী করে তোলে দেশের পক্ষে দাঁড়াতে। তিনি বাংলাদেশ এবং আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) ছদ্মনামে কলকাতার বিখ্যাত দেশ এবং অন্যান্য পত্রিকায় কবিতা লিখতেন।
শামসুর রাহমান ছিলেন জনমানুষের কবি। তাকে বলা হতো কবিতার বরপুত্র। মৌলবাদ, কুপমণ্ডকতা এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তার কবিতা সাহস যোগায়, আলোয় পথ দেখায়।
তিনি ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরনো ঢাকার মাহুতটুলীর ৪৬ নং বাড়িতে কবি জন্মগ্রহণ করেন। মায়ের নাম আমেনা খাতুন এবং পিতা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী। পৈতৃক বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে।
তিনি ১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৭-১৯৫৯ সালে রেডিও পাকিস্তানের প্রোগ্রাম প্রডিউসার ছিলেন। ১৯৬০-১৯৬৪ দৈনিক মর্নিং নিউজে সিনিয়র সাব-এডিটর, ১৯৬৪-১৯৭৭ দৈনিক পাকিস্তান এবং দৈনিক বাংলায় সহকারী সম্পাদক ও ১৯৭৭-১৯৮৭ দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শামসুর রাহমানের ১ম কবিতার বই ‘প্রথম গান ২য় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশ পায় ১৯৬০ সালে। এর পর ৬০ দশকে প্রকাশিত বইগুলো হচ্ছে ‘রুদ্র করোটিতে’, ‘বিধ্বস্ত নীলিমা’, ‘নিরালোকে বসতি’, ও ‘নিজ বাসভূমে’। দেশ স্বাধীনের পর প্রকাশ পায় ‘বন্দি শিবির থেকে’, ‘মাতাল ঋতিক’সহ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কবির ৬০টি কবিতার বই। এ ছাড়াও শিশুতোষ, গল্পগ্রন্থ, উপন্যাস- ‘অক্টোপাস’ ও ‘অদ্ভুত আঁধার’, নাটক ও কবিতাগ্রসহ অনুবাদগ্রন্থ, নির্বাচিত কলাম, নির্বাচিত কবিতার চারখন্ডসহ কবির বিভিন্ন বিষয়ে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক।
(ঊষার আলো-আরএম)