UsharAlo logo
শনিবার, ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাকালে পথশিশুদের দূর্ভোগ বেড়েছে, পূনর্বাসনে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে

koushikkln
এপ্রিল ২৬, ২০২১ ৫:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় পরামর্শ সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা : আন্তর্জাতিক পথশিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় পরামর্শ সভায় সংসদীয় ককাসসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেছেন, করোনাকালে পথশিশুদের খাদ্য সংকটসহ অন্যান্য দূর্ভোগ বেড়েছে। সরকার তাদের জন্য নানা পদক্ষেপ নিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। তাই পথশিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। আগামী বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।
সোমবার ( ২৬ এপ্রিল) এই ভার্চুয়াল পরামর্শ সভার আয়োজন করে দাতা সংস্থা কেএনএইচ জার্মানি, স্ক্যান-বাংলাদেশ, পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম ও সচেতন সংস্থা। স্ক্যান সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু। সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনায় সভায় মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন স্ক্যান সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল। আলোচনায় অংশ নেন কেএনএইচ জার্মানীর ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর মাটিলদা টিনা বৈদ্য, আপন ফাউন্ডেশন মো. আফতারুজ্জামান, ঢাকা আহ্সানিয়া মিশনের মাহাতাব হোসেন, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি’র নীল সাধু, এলমা-চট্টগ্রারের জেসমিন সুলতানা পারু, জেজেএস-খুলনা’র প্রতিনিধি আব্দুর রহমান, সিআরএসএস’র এডওয়ার্ড রবিন বল্লভ, গুড নেইবার্স বাংলাদেশের রিমো রনি হালদার, এএসডির ফারহানা ইসলাম, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল, পার্লামেন্টনিউজের সাকিলা পারভীন, সচেতন সংস্থার অ্যাডভোকেট প্রশান্ত মণ্ডল, এফপিএবি’র অরুন কুমার শীল প্রমূখ।
সভায় শিশুদের রাজনৈতিক ও ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, সম্প্রতি শিশুদের ব্যবহার করে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে হেফাজতে ইসলাম। ইতোপূর্বেও শিশুদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। মাদক বহনসহ নানা অপকর্মে তাদের ব্যবহার করা হয়। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে এটা বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুবান্ধব আইন-নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করেছে। পথশিশুদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে উতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও পথশিশুদের সুরক্ষা উন্নয়নের জন্য সংসদীয় কমিটি ও ককাসের পাশাপাশি সরকার ও বেসরকারী সংস্থাগুলোকে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মূল প্রবন্ধে মনিরুজ্জামান মুকুল বলেন, টেকসই উন্নয়ন এসডিজি (লক্ষ্যমাত্রা) অর্জনে করোনা পরিস্থিতিসহ সামগ্রিক বিবেচনায় পথশিশুদের সুরক্ষায় স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচী গ্রহণ, আগামী অর্থবছরে পথশিশু পুণর্বাসনে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ, সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে পরিচালিত পথশিশু সুরক্ষা কার্যক্রম সমন্বয় ও সহযোগীতা বৃদ্ধি, পথশিশুদের জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস রেসপন্স ইউনিট গঠন এবং সরকারী সংস্থা, বেসরকারী সংগঠন ও পথশিশুসহ সকলকে নিয়ে একটি ক্রস সেক্টর বডি গঠন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তরের কার্যক্রম দ্রুতই শুরু করা আহ্বান জানান তিনি।
মাটিলদা টিনা বলেন, কেএনএইচ জার্মানী দীর্ঘদিন ধরে পথশিশুদের উন্নয়নে জন্য কাজ করছে। কিন্তু পথশিশুদের সমস্যা কারোর একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাকে যৌথভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে পরিচালিত পথশিশু বিষয়ক কার্যক্রমগুলো যথাযথ মনিটরিং আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সংসদীয় ককাসসহ সরকারী বেসরকারী সংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি কমিটি করার প্রস্তাব দেন তিনি।