ঊষার আলো ডেস্ক : বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করে ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে একটি বৈশ্বিক রোডম্যাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় নেতৃবৃন্দের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ৬টি সুপারিশ পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিউ ইয়র্কে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করেন।
প্রস্তাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্যারিস চুক্তির কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা । উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বার্ষিক ১শ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল আদায়ের ওপরও জোর দেন তিনি। এ তহবিলের ৫০ শতাংশ বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য ব্যবহার করা হবে। উন্নয়শীল দেশগুলোতে নতুন আর্থিক প্রক্রিয়া ও সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির সমস্যা এবং সেইসাথে বৃহৎ আকারের জনসংখ্যার স্থানচ্যুতি মোকাবেলার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘মহামারি ও দুর্যোগের দ্বৈত বিপদ মোকাবেলায় জলবায়ু-সৃষ্ট দুর্যোগের বর্ধিত পৌনপুনিকতা আক্রান্ত সিভিএফ দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে তাদের অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়তা করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনে সবচেয়ে কম অবদান রাখে, তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী।’ প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক আইপিসিসি রিপোর্টেও উল্লেখ করে জানান, ‘এটি ভবিষ্যত সম্পর্কে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরছে। কেননা বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে চলে গেলে তারা স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘বাংলাদেশ অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পথিকৃৎ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’
(ঊষার আলো-আরএম)