উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা এখনও যোগদান করেননি, তাদের আমরা পুলিশ বলব না। তাদের ক্রিমিনাল বলব।’
পুলিশের যেসব সদস্য এখনও কাজে যোগদান করেননি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।তিনি বলেন, ‘তাদের আমরা অপরাধী বলব।’
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আনসার, পুলিশ ও বিজিবি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই-একদিনের মধ্যে আপনারা সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পাবেন।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা উপদেষ্টা কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্ন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি এবারের পূজা সবচেয়ে নির্বিঘ্ন হবে, সবচেয়ে ভালো হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
‘আশুলিয়ায় শিল্পকারখানায় যে ঝামেলা চলছে, তা নিয়েও কথা বলেছি। অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ও মাদকের ব্যবহার রোধ নিয়েও বিস্তারিত কথা বলেছি। মিয়ানমার সীমান্ত নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘পূজা নির্বিঘ্ন করতে যা যা পদক্ষেপ নেয়ার, সবই নেব। আশা করব এবারের পূজা আগেরবারের চেয়ে অনেক ভালো হবে। এ জন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ছাড়া বিভিন্ন মাজার ও দরগায় কীভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আমরা আলোচনা করেছি। বিশেষ করে গার্মেন্টস খাত নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
পূজার ছুটি তিন দিন করার দাবি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের এখানে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি পূজার তিন দিন ছুটি করা নিয়ে আমি কোনো দিন বলিনি। এটা আমার পারভিউয়ের (আওতায়) মধ্যে পড়ে না।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি হওয়ার পর ইউপিডিএফ হাতিয়ার সমর্পণ করেনি। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেবল হাতিয়ার সমর্পণ করেছিল। ‘ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা আছে। অন্য যারা আছে, তাদের মধ্যেও ঝামেলা আছে। তারা মিলেমিশে কীভাবে থাকতে পারে, সেটা নিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক সময় তারা বাইরে থেকেও কিছু অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। ওটা যাতে না পায়, সেটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে।’
এক উপদেষ্টার দুই মাসের মধ্যে পুলিশ বাহিনী সংস্কার করা হবে—বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ সংস্কারের কাজ ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা। সংস্কারের কাজটা আমি করছি না। এ জন্য আলাদা কমিটি করে দেয়া হয়েছে। ওই কমিটি কাজটি করবে।
‘তারা আমাদের কাছে প্রতিবেদন দেবেন। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংস্কার হবে।’
কতজন পুলিশ এখনও কাজে যোগ দেয়নি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৮৭ জনের মতো ছিল। পরে মনে হয় আর কেউ যোগদান করেননি। যারা যোগ দেননি, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।