ঊষার আলো ডেস্ক : প্রথমবার আরবের কোনো দেশে ফুটবল বিশ্বকাপ। পাল্টে ফেলা হয়েছে কাতারের চেহারা। ধারণা করা হয়েছিল যে, বিদেশি দর্শকরা উপচে পড়বে সেখানে। তবে প্রথম দুই সপ্তাহের হিসাব শেষে হতাশ হতে হলো আয়োজকদের।
টুর্নামেন্টে আয়োজন করা সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসি (এসসি) বুধবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তারা বলেছে, বিশ্বকাপের প্রথম ১৭ দিনে কাতারে পা রেখেছে ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫৯ জন আন্তর্জাতিক দর্শক, যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি চলে গেছেন। তবে তাদের প্রত্যাশা ছিল ১২ লাখ দর্শকের আগমন ঘটবে।
২০ নভেম্বর শুরু হওয়া বিশ্বকাপ শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বরে। বাকি দিনগুলোতে যে দর্শকের ঢেউ বাড়বে, এমন মনে করা বোকামি। কারণ টিকে রয়েছে আর আটটি দল ও ম্যাচ আছে শুধু ৮টি। তবে যদিও ইতিহাস গড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা মরক্কোর দর্শক বাড়তে শুরু করেছে। দেশটি হতে বিশেষ ফ্লাইটে আগমন ঘটছে মরক্কানদের।
এসসি’র রিপোর্টে নিবন্ধন হয়েছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার ম্যাচ টিকিট হোল্ডার এবং টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩০ লাখ ৯০ হাজার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাতারি কর্মকর্তা এ সংখ্যা জানিয়েছেন। নথিপত্রে বলা হয়, প্রথম ৫২ ম্যাচে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন মোট সাড়ে ২৬ লাখ দর্শক।
দর্শক সংখ্যা বাড়াতে কিছু কিছু জায়গাতে ছাড় দিয়েছে আয়োজকরা। দেশটিতে ভ্রমণে গালফ করপোরেশন কাউন্সিল সদস্য দেশগুলোর দর্শকদের জন্য এখন হতে আর হায়া কার্ডধারী হওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
(ঊষার আলো-এফএসপি)