ঊষার আলো ডেস্ক : গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী শহিদুল ইসলামের বাড়ির সিঁড়িঘর থেকে মাদ্রাসাপড়ুয়া শিশুশিক্ষার্থী তানিশার (১১) গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই রাতেই পুলিশ সিঁড়িঘরে পাওয়া স্যান্ডেলের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোরকে গ্রেফতার করে। হত্যায় ব্যবহৃত ছোরাও উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত কিশোর তার জবানবন্দিতে জানায়, তার বাবা জীবিত না থাকায় এবং তারা দরিদ্র হওয়ায় সেই ছাত্রীর পরিবারের লোকজনরা তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত। কোনো সুযোগ পেলেই গালমন্দ করত। এ নিয়েই তার মনে চরম ক্ষোভ জমে ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সেই ছাত্রীর ভাইকে মসজিদে ভাত পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাকে ডাকা হয়। ওদিন তানিশার মাও সেই বাড়িতে ছিলেন না। শুধু বৃদ্ধা দাদি ও শিশু তানিশা বাড়িতে ছিল। এ সুযোগে হাত ও মুখ বেঁধে তানিশাকে ছাদের সিঁড়িঘরে নিয়ে গিয়ে খুন করে সেই কিশোর। পরে সে ছাদের পাশের একটি গাছ বেয়ে নিচে নেমে নিজের ঘরে চলে যায়। তবে সিঁড়িতে তার স্যান্ডেল ফেলে যায়।
গতকাল শুক্রবার (৭ মে) দুপুরে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আশ্রাফুল ইসলাম বাদী হয়ে সেই কিশোরের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
(ঊষার আলো-এফএসপি)