ঊষার আলো রিপোর্ট: কুমিল্লায় কোটা আন্দোলনকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (কুবি) আশেপাশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষ চলছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজনকে আহত হতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কে শিক্ষার্থী এবং পুলিশ সদস্যরা শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান নিলে হঠাৎ শিক্ষার্থীদের মাঝে সিভিল কিছু লোকজন কাঁদানে গ্যাস ছেড়ে চলে যায়। এরপর শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হলে পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ চলমান রয়েছে (২:৫৫ মিনিট)। এতে একজন পুলিশ সদস্য ও ৫০ এর অধিক শিক্ষার্থীকে আহত হতে দেখা গেলেও মোট কতজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এছাড়াও শহর থেকে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোটবাড়ি অভিমুখে রওনা করলে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সদস্যরা পথে বাধা দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ও কুমিল্লা জিলা স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েকহাজার শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছে।
তাদের দাবি হলো-কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার নাতিদের নিয়ে করা বক্তব্যের প্রত্যাহার করতে হবে।
এর আগে শিক্ষার্থীরা বাঁশ, পাইপ, রড ও লাঠি হাতে নিয়ে পথে পথে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, ‘লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘আমি কে? তুমি কে? রাজাকার, রাজাকার’ কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’, ‘ছাত্রলীগের কালো হাত ভেঙে দাও, ঘুরিয়ে দাও’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ঢাবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জাবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’,‘চবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’,
এছাড়াও এখন পর্যন্ত ৪ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেলের পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বী। উভয়পক্ষের সংঘর্ষ চলছে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল অভিমুখে পুলিশ ও বিজিবি রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নেওয়ায় হতাহতরা হাসপাতালে যেতে পারছেনা।
ঊষার আলো-এসএ