ঊষার আলো রিপোর্ট :বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘাত, ইন্টারনেট না থাকা ও কারফিউর কারণে অচল ছিল অর্থনৈতিক খাতের বড় অংশ। কারফিউ জারি হলে বন্ধ হয়ে যায় পোশাক কারখানাগুলোও। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে সংকটে পড়ে এ খাত। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে এই খাত থেকে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদন ইউনিট খোলা রাখলেও ইন্টারনেটের অভাবে ব্যবসা কার্যত থেমে ছিল। এছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। শিপমেন্ট জমে গেছে, কারণ সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
ফলে কিছু কোম্পানির অর্ডার বাতিল হয়েছে। কিছু কোম্পানি আকাশ পথে পণ্য পাঠাতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, যদিও এখন সংকট নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, তারপরও রপ্তানিকারকদের ওপর এক মাসের বেশি সময় এর প্রভাব থাকবে। কারণ সময়মতো সরবরাহ করতে না পারা অর্ডার জমে আছে।
এদিকে, আজও কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় সারা দেশে নিহত এবং আহতদের স্মরণে আজ ‘রিমেমবারিং আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি পালন করছেন।
সারাদেশে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যা, গণপ্রেপ্তার, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচার, এবং ছাত্র সমাজের নয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই কর্মসূচির ডাক দেয় তারা।
এতে আন্দোলন ঘিরে নির্যাতন, শহীদ ও আহতদের নিয়ে স্মৃতিচারণ, গ্রাফিতি, দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন তৈরি এবং ডিজিটাল পোট্রের্ট তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ