UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসক লাঞ্ছণায় গ্রেপ্তার ২, বিএমএ’র সন্তোষ প্রকাশ

koushikkln
এপ্রিল ৭, ২০২১ ৩:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনায় রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে মারধর, লাঞ্ছনা ও হামলার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৩ এপ্রিল রাত্রিকালীন ডিউটি রোস্টারের দায়িত্ব পালনকালে খুমেক হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে মেডিকেল অফিসার ডা: সুমিত পাল এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হন।
বুধবার (০৭এপ্রিল) ভোরে পৃথক অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী এস সাইফুল ইসলাম রাকিব (২৫) ও মো. বশির উদ্দিন (৩৮)কে বাগেরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মো. মোমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ডা. সুমিত পালের ওপর হামলায় মৃত রোগী রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব ও শ্যালক বশিরকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আসামী গ্রেপ্তারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা ব্যহত হোক এমন কোন পদক্ষেপ নিতে চাইনা। আমরা এখন আইনগতভাবে লড়বো। পাশাপাশি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য আমাদের দাবি অব্যাহত থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, চিকিৎসক নিরাপদ না থাকলে কোনভাবেই রোগীরা নিরাপদ থাকবে না।’

এর আগে দুপুরে বিএমএ দপ্তরে খুলনা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এক সংবাদ সম্মেলনে আসামী গ্রেপ্তারে আন্দোলনের আল্টিমেটাম দেন বিএমএ নেতারা।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল রাত্রিকালীন ডিউটি রোস্টারের দায়িত্ব পালন করছিলেন খুমেক হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে মেডিকেল অফিসার ডা: সুমিত পাল। ওই দিন বিকেলে করোনায় ভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধ রফিকুল ইসলামকে ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডের ৪নং বিছানায় ভর্তি হন। ওই দিন রাত ৯টা ২৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ডা: সুমিত পাল যখন রোগীর মৃত্যু সনদ লিখছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে  রোগীর দুইজন ছেলেসহ আরো ২/৩ জন তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গালিগালাজসহ তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, চড় এলোপাতাড়িভাবে হামলা চালায়। এ সময় হাসপাতালের স্টাফ নার্সসহ এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ডা. সুমিত ও হাসপাতাল পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ সোনাডাঙ্গা পৃথক দুটি মামলা করেন।