প্রায় ক্রেতা-দর্শক শূণ্য মেলা মাঠ
ঊষার আলো প্রতিবেদক : তখন ঘড়ির কাটায় বিকেল ৫টা বাজে। কিছুক্ষণ পরেই কর্তৃপক্ষের বেধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী মেলা শেষ হবে। কিন্তু সারা মাঠ জুড়ে করছে খা-খা। চোখে পড়ার মত দর্শক বা ক্রেতা তেমন নেই। যা আছে তাও হাতে গোনা দর্শক। শনিবার (১০ এপ্রিল) এমনই দৃশ্য ছিল বয়রা বই মেলা মাঠ প্রাঙ্গণ। কমার্স বুক ডিপোর প্রতিনিধি শাহিন বাশার বলেন, প্রতিদিন যা বিক্রি হচ্ছে তাতে খরচের টাকা উঠছে না। লোকসানের কারণে অনেকে স্টল গুটিয়ে ইতোমধ্যে মেলা ছেড়েছেন। শুধু গার্ডিয়ান পাবলিকেশন ও কালান্তর প্রকাশনী একা নয় বরং হঠাৎ ঝড়ে এবং বৃষ্টিতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় বইমেলার বয়রা সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণের বেশকিছু স্টলকে। প্রচন্ড ঝড়-বাতাসে ভেঙে পড়ে সাজসজ্জার বিভিন্ন কাঠামো। বাক আবৃতি অনুশীলন চক্র স্টলের প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শ্রাবন বলেন, এ সংকটে মেলা না হলেই ভাল হতো। মেলা করতে এসে অর্ধলাখ টাকা তার লোকসান হয়েছে। শুধু তার একার নয়, এ অবস্থা সকলেরই। এ জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, তবে বাস্তবায়ন এখনও দেখছি না। আফিয়া বুক হাউজ স্টলের প্রতিনিধি কে এম তুহিন বাবু বলেন, যেখানে বইমেলার প্রাণ হচ্ছে বইপ্রেমী পাঠক-দর্শনার্থী সেখানে মেলা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং গুটি শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যান্য মানুষের সংখ্যা ছিল তলানিতে। বঙ্গলিপি প্রকাশনী স্টলের প্রতিনিধি লেখক এসএম আঃ রহমান বলেন, ঝড়-বৃষ্টির ক্ষতির সঙ্গে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে আরও যুক্ত হয়েছে লকডাউন। এতে পাঠক-দর্শনার্থীর অভাবে বইমেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে স্তব্ধতার।
অপরদিকে করোনা পরিস্থিতির অবনতি, লকডাউনসহ বিভিন্ন কারণে বইমেলায় মেলায় পাঠক-দর্শনার্থীর আশানুরূপ উপস্থিত না থাকা এবং বিক্রি কম হওয়ায় ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে মেলা ছাড়ছে। ইতোমধ্যে ৯/১০টি স্টল মেলা মাঠ ছেড়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে দাড়িকমা প্রকাশনী, মাকতাবাতুল হাসান স্টল, একটি চটপট্টির দোকান উল্লেখযোগ্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খরচ কুলাতে না পেরেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বয়রা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক ড. মোঃ আহছান উল্লাহ বলেন, লকডাউনের কারণে মূল মঞ্চে কোন অনুষ্ঠান চলছে না। দ্বিতীয় ধাপের বিভাগীয় বই মেলা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
(ঊষার আলো-এমএনএস)