খুলনা ওয়াসা’র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দুর্নীতি অভিযোগে অভিযুক্ত মো: রেজাউল ইসলাম। তাকে খুলনা ওয়াসার ‘খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প-২’ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের এই নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্ত চলছে। তদন্তের বিষয়টি গোপন রেখেই তাকে ওই পদে দায়িত্ব দেওয়ায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) স্বাক্ষরিত এক পত্রে চারজন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পানি সরবরাহ প্রকল্প-২ এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পাওয়া মো: রেজাউল ইসলাম ২০২০ সালে আইইবি নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ মনোনীত লোকাল কাউন্সিল মেম্বার প্রার্থী ছিলেন। সে সময় প্যানেলে কে কোন পদে প্রার্থী হবেন তা ‘শেখবাড়ি’ থেকে নির্ধারিত হতো। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পদ কেনা বেচা চলতো বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ওই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন।
৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মীরা ওয়াসায় গিয়ে দুর্নীতিবাজ ও আওয়ামী অনুগত কর্মকর্তাদের অপসারণ ও অনিয়মের তদন্ত দাবি করেন। ১৩ অক্টোবর সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান লিখিত ভাবে প্রকৌশলী মো: রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে তার কর্মকালীন জীবনের বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত অনিয়ম ও চাঞ্চল্যকর অর্থ লোপাটের ৭ দফা অভিযোগ তুলে ধরে তদন্ত দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে ২২ অক্টোবর ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রেজাউল ইসলাম দাবি করেন, তিনি কখনোই বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদে ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি হয়েছিল। রিপোর্ট দিয়েছে কিনা তা কমিটির কাছে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের কাছে ৬ মাসে তদন্ত কাজে অগ্রগতি কতোদূর জানতে চাইলে বলেন, কাজ চলমান আছে। অফিসে কাজের অনেক চাপ। ফাঁকে ফাঁকে তদন্ত করছি। তাছাড়া আমি তো কাউকে নিয়োগ দেইনি। যিনি দিয়েছেন নিচে তার স্বাক্ষর আছে। আপনি তার কাছে জিজ্ঞাসা করেন।
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: হুসাইন শওকত বলেন, আমাকে জানানো হয়নি যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তাছাড়া এডিবি’র প্রকল্প হওয়ায় কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে কিছু জনবল নিয়োগ দিতে হয়েছে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ঊআ-বিএস