ঊষার আলো রিপোর্ট : দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরি। গরমে সুস্থ থাকতে হলে বেশ কিছু পরামর্শ মানতে হবে এমনটি বলছে বিশেষজ্ঞরা। গরমে স্বাস্থ্যের ওপরে যে প্রভাব পড়ে, তাতে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই আসুন মেনে চলি কিছু নিয়ম
# সরাসরি রোদে যাওয়া থেকে বা অধিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সরাসরি রোদে যাবেন না। এ সময়টাতে দিনের সবচেয়ে বেশি গরম থাকে।
# সূর্যের আলো থেকে চোখ সুরক্ষায় রোদচশমা ব্যবহার করুন। তাছাড়া সূর্যের আলোয় সরাসরি যাওয়ার পরিবর্তে মাথায় ছাতা, টুপি, পায়ে জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
# তৃষ্ণা না পেলেও প্রচুর পানি পান করুন। পানি ছাড়াও ডাব, জুস, লাচ্ছি, লেবুপানি ও দই ইত্যাদি খেতে পারেন।
# উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের বদলে অল্প অল্প খান।
# কোথাও যাওয়ার আগে অবশ্যই পানি সাথে নেবেন।
# সুযোগ থাকলে, একাধিকবার গোসল করতে পারেন। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে গোসল করে নিলে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকবে।
# হালকা, ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের সুতি কাপড় পরবেন।
# ঘর যাতে ঠান্ডা থাকে ও ঘরে যাতে বাতাস প্রবেশ করতে পারে, সে সুযোগ রাখবেন।
# কারও যদি শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা এবং মাথা ঝিমঝিম করে, তবে দ্রæত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
# গরমের দিনে খাবার সামান্য এদিক-ওদিক হলেই পেটব্যথা হয়, পেট কামড়ায়, হজমে গোলমাল দেখা দেয়। বাইরের খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সচেতন থাকুন।
# গরমে আর ক্লান্তিতে বাইরের খোলা খাবার এবং পানীয় গ্রহণের হার বেড়ে যায়। তার ওপর গরমে সহজেই খাদ্যদ্রব্য দূষিত হয়। বাড়ে মাছি ও পোকামাকড়ের বিস্তার, যা রোগবালাই ছড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো জন্ডিস। জন্ডিস থেকে বাঁচতে, বিশেষ করে রাস্তার খোলা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
# গ্রীষ্মের অতিরিক্ত গরমে ঘামাচির সমস্যা বাড়ে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অতিরিক্ত গরমে অনেক পানি পান করা উচিত। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ বার গোসল করা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত ১বার গোসলের সময় সাবান মাখতে হবে। এমনকি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
# গরমের সময়ের একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিটস্ট্রোক। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, প্রচন্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিটস্ট্রোক বলে। হিটস্ট্রোক এড়াতে যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। পানির সাথে সাথে লবণযুক্ত পানীয় যেমন: খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি ইত্যাদিও পান করতে হবে। ঠিক তেমনি তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন: চা ও কফি যথাসম্ভব কম পান করা উচিত।
# গরমে প্রচুর পরিমানে সবজি খেতে পারেন। তাই শসা, টমেটো, ক্যাপসিকাম, লাউ ও শাক-পাতা আপনার খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখুন।
(ঊষার আলো-আরএম)