ঊষার আলো রিপোর্ট : বিতর্ক ও সমালোচনা পাশ কাটিয়ে বরাবরই শেষ হাসিটা হেসেছেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহুবার গেছেন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে। নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়ে ক্রিকেটের বাইরেও থাকতে হয়েছে তাকে। তবে কখনই বোধদয় এতটা বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি সাকিবকে। যেই পরিস্থিতি শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে সাকিবের ক্যারিয়ার।
এই পরিস্থিতিতে পড়ার পেছনে অবশ্য দায় আছে সাকিবেরও। দেশে যখন সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে একের পর এক মানুষ মরছে। তখন বারবার তার ভক্তরা সাকিবকে সেই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। সাকিব তা তো করেইনি, বরং কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে এক ভক্তের প্রশ্নে পাল্টা তাকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন দেশের জন্য আপনার অবদান কি?
এরপর দেশে যখন বাড়ছিল মৃত্যুর মিছিল, তখন সাকিবকে দেখা গেছে তার পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরে বেড়াতে। সব মিলিয়ে সাকিব শিকার হয়েছেন ব্যাপক সমালোচনার। সরকার পতনের পর মাগুরায় সাকিবের অফিসে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পাকিস্তান সিরিজের আগে দেশে ফেরার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটি না করে সরাসরিই পাকিস্তানে খেলতে গেছেন সাকিব। সিরিজ শেষে দেশে তিনি ফিরবেন কিনা সেটি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। কেননা দেশে ফিরলেই গ্রেফতারের শিকার হতে হবে তাকে। আর এই অবস্থায় সাকিবের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তার সতীর্থরা।
এক সময়ের জাতীয় দলের সতীর্থ পেসার রুবেল হোসেন এক পোস্টে লিখেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচাইতে অভাগা একজন রাজনীতিবিদ যার ৬/৭ মাস রাজনীতির ক্যারিয়ারে পাঁচ মাসের মতোই ছিলেন দেশের বাইরে। আপনি সংসদ সদস্য হয়ে কিছু পাওয়ার চেয়ে হারিয়েছেন অনেক কিছু। বাংলাদেশের সমস্ত ক্রিকেটার আপনার পাশে আছে, সাকিব ক্রিকেটেই সুন্দর রাজনীতিতে নয়।
সাকিবকে নির্দোষ দাবি করে এনামুল হক বিজয় লিখেছেন, ‘সাকিব ভাই, বাংলাদেশের ক্রিকেটে আপনার অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্ব মানচিত্রে আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আপনার সঙ্গে আমরা সবাই আছি। ইনশাআল্লাহ এই আঁধার কেটে যাবে। খুব জোর গলায় বলছি— আপনি নির্দোষ। আল্লাহ আপনার ভালো করুক।’
পেসার শরিফুল ইসলাম সাকিবের সঙ্গে দুটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, সবসময়ই ভালোবাসার আরেক নাম সাকিব আল হাসান আছে-থাকবে। সাব্বির রহমান লিখেছেন, সাকিব আল হাসান যার জন্য বিশ্ব ক্রিকেট বাংলাদেশকে চেনে। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা থাকবে সব সময়।
এদিকে সাকিবকে নিয়ে পোস্ট দিয়েও পরে সমালোচনার মুখে সেই পোস্ট সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন মুনীম শাহরিয়ার।
উল্লেখ্য, গার্মেন্টসকর্মীকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ২২ আগস্ট ডিএমপির আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সাকিবকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনকে।
ঊষার আলো-এসএ