পিরোজপুরের কাউখালীতে চিরকুট লিখে রেখে মোসা. মুমু আক্তার (১১) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার গান্ডতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মুমু আক্তার জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালীর মাসুম মোল্লার মেয়ে। সে তার মায়ের সঙ্গে কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের গান্ডতা গ্রামে নানা বাড়িতে বসবাস করতো। মুমু গান্ডতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহত মুমুর নানা হেমায়েত সরদার বলেন, আমার মেয়ের ঘরের ছোট নাতি অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে মেয়ে শনিবার রাতে হাসপাতালে ছিল। ওই দিন রাতে বড় নাতি মুমু বাড়িতে ছিল। সে রাতের খাবার খেয়ে তার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে। আমি রাত সাড়ে বারোটার সে ঘুমিয়েছে কিনা তা দেখার জন্য তার ঘরে গিয়ে দেখি সে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।
পরে পরিবারের লোকজনের সহায়তায় মুমুকে নামিয়ে থানা পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে রাতেই লাশ থানায় নিয়ে যায়। আমার নাতি একটু কালো ছিল তাই আত্মীয়-স্বজন ও তার বন্ধু মহল তাকে ‘কালিতারা’ বলে সব সময় ডাকতো এই কারণে সে সব সময়ই মন খারাপ করে থাকতো। তাকে ‘কালিতারা’ বলে ডাকায় সে আত্মহত্যা করেছে বলে একটি চিরকুটে লিখে রেখে গেছে।
নিহত মুমুর মা জানান, তার ছোট মেয়ে অসুস্থ থাকায় শনিবার রাতে তিনি তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন। রাতে মুমুর আত্মহত্যার খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। আত্মহত্যার পূর্বে মুমু একটি চিরকুট রেখে গেছে। তাতে কি লেখা রয়েছে আমি জানি না। চিরকুটটি পড়ার আগেই পুলিশ নিয়ে গেছে।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলাইমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ রাতে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই চিরকুটে কি লেখা রয়েছে তা তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।