ঊষার আলো ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নারীসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া গভীর রাতে এক যুবলীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিরাজুল ইসলাম কাবাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের রেলপাড়ায় তাদের কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে রাত ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমানের বাড়ি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
আটককৃতরা হলেন পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিরাজুল ইসলাম কাবা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাবার ভাই নান্টু ও বাধন।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার বাসিন্দা বাধনের সাথে রেলপাড়ার হাসিবের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতরাতে আবারো উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হাসিব ও তার বন্ধু ছাবিদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে অভিযুক্তরা। এ সময় হাসিবের ফুফু আসমা খাতুন ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। এদিকে মাকে কুপাতে দেখে মেয়ে বৃথি প্রতিবাদ করলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
আহতরা হলেন শহরের রেলপাড়ার শাহিনের ছেলে হাসিব (২০), একই পাড়ার আক্তারুজ্জামানের ছেলে ছাবিদ (২০), হাফিজুর রহমানের মেয়ে আসমা খাতুন (৪২) ও আবুল কালামের মেয়ে বৃথি খাতুন (২৫)। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনজনের শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের জখম রয়েছে। ক্ষতস্থানে সেলাই করা হয়েছে। এছাড়া একজনের শরীরে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, পূর্ব শক্রতার জেরে নারীসহ তিনজন ধারাল অস্ত্রের কোপে জখম হয়েছেন। আরো এক নারীকে মারধর করেছে বলে জেনেছি। এ ঘটনার পরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
বাড়ি ভাঙচুরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাত ১১টার দিকে রেলপাড়ার সিরাজুল ইসলাম আসমান নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বাড়ির প্রধান দরজা ও বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙা দেখা গেছে। কে বা কারা ভাঙচুর করেছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।