মণিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে ছাগলে ধান খাওয়ার প্রতিবাদ করায় হাসিনা বেগম নামে এক স্বামী পরিত্যাক্তা অসহায় নারীর ধানের গাদায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা রাতে উপজেলার রাজগঞ্জ বনিকপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। আগুন দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজন তা নিভিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে রাতে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক মন্টু ও ইউপি সদস্য তাজু হোসেন ঘটনাস্থলে গেছেন। স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে হাসিনা বেগম পিতা মৃত মুজহার আলী গাজীর ভিটায় থেকে অন্যের জমিতে কাজ করেন। হাসিনা বেগম বলেন, মাঠে কাজ করে খাই। কষ্ট করে ১০ কাঠা জমিতে ভাগে বোরো ধান লাগাইছি। সেই ধান উঠানে গাদা দিয়ে রাখা ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী মৃত শাহজাহানের স্ত্রী রহিমার একটি ছাগল গাদার ধান খাচ্ছিলো। প্রতিবাদ করায় আমার সাথে ঝগড়া করে। পরে আমি রাজগঞ্জ বাজারে চলে যাই। এই সুযোগে রহিমা ও তার মেয়ে খালেদা গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে গাদার ধান পুড়ে ছাই হয়েছে। হাসিনা আর্তনাদ, ধান ঝেড়ে জমির মালিকের ভাগ দেওয়ার কথা ছিল। এখন মালিকের ধান দেব কি করে। আমি খাব কি!
হাসিনার ভাইপো শরিফুল ইসলাম বলেন, ছাগলে ধান খাওয়ায় বকাবকি করাতে রহিমা বেগম, তার মেয়ে খালেদা এবং বড় ছেলের বউ ডলি মিলে ধানের গাদায় আগুন দেয়। আগুন দেখে আমরা এসে নিভিয়ে ফেলি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। ডলি খাতুন বলেন, সন্ধ্যায় আমি বাড়ি ছিলাম না। কারা আগুন দেছে দেখিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজু হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। হাসিনা খুব কান্নাকাটি করছিলে। তারে সান্তনা দিয়ে এসেছি। রাজগঞ্জ ক্যাম্পের এসআই আজমল হোসেন বলেন, কে বা কারা ধান গাদায় আগুন দিয়েছে সেটা দেখেনি কেউ। আগুনে কিছুটা ধান পুড়েছে। আজ (বুধবার) সকালে হাসিনা বেগম লিখিত আভিযোগ দিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঊষার আলো-আরএম)