কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদী সানে তাকাইচিকে রান-অফ ভোটে পরাজিত করার কয়েকদিন পর জাপানের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিগেরু ইশিবা মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্ট কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ রক্ষণশীল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নেতা ইশিবা নিরাপত্তা পলিসি বিষয়ে তার গভীর জ্ঞানের জন্য পরিচিত।
সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং একটি এশিয়ান ন্যাটো গঠনে ইশিবার আহ্বান বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। তবে তিনি চীনের বিষয়ে তার কথায় সতর্ক।
ক্ষমতাসীন দল শিগেরু ইশিবাকে নেতা নির্বাচিত করার পর শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি জাপানের ভূখণ্ড রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।
‘জাপান চায় আমরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করি এবং এই অঞ্চলে কীভাবে শান্তি স্থাপন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা শুরু করি।’
চীন ও রাশিয়ার জাপানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের পর উত্তেজনা চলছে। একটি জাপানি যুদ্ধজাহাজও গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাত্রা করে।
ইশিবা এবার একজন জাতীয়তাবাদীর বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার আগে তার এলডিপি’র নেতৃত্ব পেতে চার বার ব্যর্থ হন। এর মধ্যে একটি চেষ্টা ছিল তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিনজো আবের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক ইউ উচিয়ামা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ইশিবা তার ‘আবের অধীনে এলডিপি নীতির স্পষ্টভাষী সমালোচনা’ দিয়ে দলের হেভিওয়েটদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন।
৬৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ দুর্যোগ প্রতিরোধের দায়িত্বে একটি সরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করেছেন।