UsharAlo logo
শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাবিতে প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র‌্যালি’

ঊষার আলো রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫ ৩:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র‌্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবন থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধমে র‌্যালি শেষ হয়। আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস উপলক্ষে র‌্যালি আয়োজন করে কুরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাব (ফিমেল সেকশন) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

দর্শন বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা বলেন, মুসলিম প্রধান একটি দেশে মুসলিম নাগরিক হিসেবে হিজাব পড়ার অধিকার চাওয়া একই সঙ্গে হাস্যকর এবং বেদনাদায়ক। ইসলামে যেখানে হিজাব পড়া বাধ্যতামূলক সেখানে কেনো আমাকে হিজাবের জন্য অধিকার চাইতে হবে? হিজাবকেও পোশাকের স্বাধীনতার আওতায় আনতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময় ইসলামি বিধিনিষেধ মানার জন্য আমাদের বিভিন্ন ট্যাগিং এর শিকার হতে হতো। আমরা এসব ট্যাগ থেকে মুক্তি চাই।

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীমা নাসরিন জলি বলেন, শনিবার আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস ছিল। এটি গত ১২ বছর যাবৎ বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসলেও বাংলাদেশে এইবার প্রথম। আমরা বিভিন্ন জায়গায় হিজাব পরার জন্য লাঞ্ছিত হতে দেখি, সেটার বিপরীতে আমরা এটি করছি। হিজাব আমাদের অধিকার ও আধুনিকতা। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, যারা অভিজাত, ভদ্র, মুসলিম ও বিশ্বাসী নারীরা পর্দা করবে। সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই আমরা আজকে এ র‌্যালি ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, মায়ের দুধ পান করা যেমন সন্তানের অধিকার, ঠিক তেমনি হিজাবকে ধারণ করা আমাদের অধিকার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটা আমাকে বলতে হবে কেন? অধিকার হরণ করতে করতে পৃথিবীর নিয়ম এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, সেটাকে স্মরণ করে দিতে হচ্ছে। আমি শুধু এইটুকুই বলব, হিজাব পড়া যেমন আমার মা-বোনদের অধিকার তেমনি সে অধিকার নিশ্চিত করা আমাদেরও দায়িত্ব।

উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহাসান বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের একজন নারী অধিকার কর্মী একটা বক্তব্য শোনার পর আমার মধ্যে নতুন একটা বোধের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেছেন, ‘মানব সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে কাপড় পরিধানের এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ সভ্যতার পূর্ব যুগে মানুষ কাপড় পরিধান করতো না।’ যখন আমরা বলি আমরা সভ্য হয়েছি এর মানে আমরা বলি আমরা কাপড় পড়া শিখেছি। তাহলে কেউ যদি কাপড়ের পরিমাণ নির্ধারণ করতে গিয়ে হিজাবটাকে সংযুক্তি করে তাহলে এটা কীভাবে সভ্যতার পরিপন্থি হয়? হিজাব শুধু নারীদের অধিকার নয়, এটা সভ্যতার একটি উপাদানও বটে।

ঊষার আলো-এসএ