UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুয়াড়ি স্বামীর অত্যাচারে গৃহবধূর আত্মহত্যা

usharalodesk
মার্চ ১২, ২০২১ ২:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : জুয়া খেলার টাকা দিতে অস্বীকার করার কারণে গৃহবধূ মাসুমা আক্তার ববিতাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে তার স্বামী জিয়াউর রহমান। এ ছাড়া বাবার বাড়ি থেকে সম্পত্তি বিক্রির টাকা এনে দেওয়ার জন্যও প্রায় সময় করা হতো নির্যাতন। স্বামীর এই জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে গৃহবধূ ববিতা । ঘটনাটি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় আজ ১২ মার্চ শুক্রবার শেরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ আগে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের জুয়ানপুর গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে মাসুমা আক্তার ববিতার বিয়ে হয়। কিছুদিন ভালোই চলছিল তাঁদের জীবন। এরই মধ্যে সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তার মেয়ে সাবরিনা দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে।
নিহতের মা মর্জিনা বেগম বলেছেন, সংসারে আয়-রোজগার করার পরিবর্তে জুয়া খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে মেয়ের জামাই জিয়াউর রহমান। এ নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত সব সময়। জুয়া খেলার টাকার জন্য তার মেয়ে ববিতার ওপর প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। এমনকি পারিবারিক কলহে অতিষ্ঠ হয়ে মাসখানেক আগে একমাত্র নাতনি সাবরিনা তাদের বাড়িতে রয়েছে। সব মিলিয়ে সংসারে অশান্তি আর স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ববিতা নিজ শয়নকক্ষের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে তার স্বামী। এ ঘটনা সম্পর্কে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, বসতবাড়ির একটি ঘরে ওই গৃহবধূর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি এই গৃহবধূর মৃত্যু কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্য মামলা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

(ঊষার আলো-এম.এইচ)