ঊষার আলো ডেক্স : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যু ঘটেছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট একটি ক্লিনিকের ডাক্তার, নার্সসহ ক্লিনিক কতৃপক্ষ সবাই পলাতক। বুধবার (২৫ মে) রাতে ভুঞাপুর বাজারের মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটে। ক্লিনিকটির অনুমোদন নেই বলে জানা গেছে।
প্রসূতি লাইলী বেগম উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামের আতোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
জানা গেছে, লাইলীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে স্বজনরা ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক রোগীকে টাঙ্গাইল রেফার্ড করেন। সেখানে থাকা ক্লিনিকের দালাল শামছুর খপ্পরে পরে মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালে নেওয়া হয় লাইলীকে। তারপর ওই ক্লিনিকে সার্জারি চিকিৎসক ও ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা এনামুল হক সোহেল এবং অ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক ডা. আল মামুন অস্ত্রোপ্রচার শুরু করেন। এক পর্যায়ে লাইলী অপারেশন টেবিলেই মারা যায়। পরে স্বজনদের না জানিয়েই লাশ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেয়ার সময় স্বজন ও স্থানীয়রা বাধা দেয়।
লাইলীর স্বজনরা বলেন, প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে লাইলীকে সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে দালালের খপ্পরে পরে ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ২ ঘণ্টা অপারেশন থিয়েটারে রাখে। পরে লাইলী মারা গেলে তাকে ক্লিনিকের সামনে রেখে চিকিৎসক, নার্স ও মালিকরা পালায়।
ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আল মামুন জানান, মা ক্লিনিকে আনার পরপরই লাইলীর রক্তচাপ দেখা দেয়। অপারেশনের আগেই রোগী বমি করে ও পরপরই মারা যায়।
ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়েই ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও মালিকরা পলাতক। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
(ঊষার আলো-এসএইস)