ঢাকার বিচারিক আদালতের হাজতখানায় পুলিশের ঘুস বাণিজ্য নিয়ে ‘ঘুস ওপেন সিক্রেট’ শিরোনামে জেরে সাংবাদিক মহিউদ্দিন খান রিফাতকে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক জারি করা একটি চিঠির মাধ্যমে তলব করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)।
মঙ্গলবার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মামুন খান এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোর্ট অঙ্গণের পেশাদার সংগঠন সিআরইউয়ের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং স্টাফ রিপোর্টার মহিউদ্দিন খান রিফাতকে গত ৮ এপ্রিল তারিখে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’ এবং রিফাতকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। যেকোনো গণতান্ত্রিক সমাজে, সাংবাদিক এবং তাদের নিউজ সোর্স জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত।
এতে আরও বলা হয়, সংবাদে যদি কোনো ভুল বা আপত্তিকর কিছু থাকে, তাহলে নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপির বিধান রয়েছে। তবে সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তলব করে ভয় দেখানো ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশের লক্ষণ। নতুন বাংলাদেশে এটি কোনোভাবে কাম্য নয়।
সিআরইউ জানায়, সংবাদমাধ্যমে ওপর হস্তক্ষেপ করা তথা সাংবাদিক হেনস্তার পুরনো এই হয়রানির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে এই অপেশাদার আচরণের তদন্ত করার এবং বাংলাদেশে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে আদালতের হাজতখানায় আসামির সাথে দেখা, খাবার বা কোনো জিনিস দেওয়া, জামিনসহ বিভিন্ন কাজে পুলিশকে ঘুস দেওয়ার রীতি বহু বছরের পুরনো। হাজতখানাসহ আদালত পাড়ার পুলিশের উচ্চ মহল পর্যন্ত এ ঘুসের টাকার ভাগ পান বলে অভিযোগ করেছে। এ ঘুস বাণিজ্যের বিষয়টি ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
ঊষার আলো-এসএ