ঊষার আলো রিপোর্ট : নরসিংদীর রায়পুরায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার মেথিকান্দা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এদিকে নরসিংদীর পলাশে বালুবাহী ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংর্ঘষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম দেলোয়ার হোসেন (৫০)। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে। দেলোয়ার ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ নং ইউনিটের প্রশাসনিক বিভাগের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার মরদেহের পরিচয় না মিললেও তার বয়স আনুমানিক ১৩ বছর বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
জানা যায়, সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে রায়পুরার মেথিকান্দা এলাকায় রেললাইনের পাশে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। দুপুর ১২টার দিকে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে দেলোয়ার হোসেন সকালে গাজীপুরের নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মস্থলে ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলটি পলাশের চরসিন্দুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে পৌঁছালে অপর দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে মাথায় আঘাত পান দেলোয়ার।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, দুর্ঘটনার পরই ট্রলির চালক পালিয়ে যায়। তবে ট্রলিটি জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
নরসিংদী রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত একটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
ঊষার আলো-এসএ