ঊষার আলো ডেস্ক : ১৬৪ রানের টার্গেটে নেমে নামিবিয়ার বোলারদের মুখে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ছন্নছাড়া ব্যাটিং করেছেন তারা। ফলাফল- নামিবিয়ার ৫৫ রানের জয়।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণই করেছিল লঙ্কানরা। পাওয়ারপ্লেতেই তুলে নিয়েছিল নামিবিয়ার ৩ উইকেট। শুরুর ছয় ওভারে কেবল ৩৫ রানই জড়ো করতে পারে নামিবিয়ানরা।
তবে স্টেফান বার্ড আর অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাসের ৪১ বলে ৪৩ রানের জুটি স্থিতি দেয় নামিবিয়াকে।
এরপরের গল্পটা কেবলই শুধু ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক আর ইয়োহাম্ন স্মিটের। দুজন মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩৩ বলে যোগ করেন ৬৯ রান। যা সপ্তম কিংবা তার নিচের উইকেট জুটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
তাতে ভর করেই শ্রীলঙ্কাকে তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম বিস্মরণযোগ্য ডেথ বোলিং অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় নামিবিয়া। আর তাতেই মোমেন্টাম চলে আসে নামিবদের পক্ষে।
সেই মোমেন্টামটাকে কাজে লাগিয়ে শুরুতেই শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ধসিয়ে দেয় নামিবিয়া। কুশল মেন্ডিসকে ঘড়ে ফিরিয়ে নামিবিয়ান উৎসবের শুরুটা করেন ডেভিড ভিসা। চতুর্থ ওভার করতে আসা বেন শিকোঙ্গোর ডাবল উইকেট মেইডেনে যখন ফিরলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দানুশকা গুনাথিলাকা ফিরলেন, শ্রীলঙ্কার ভিতটা নড়ে গিয়েছিল তখনই। আর পাওয়ারপ্লে শেষে ফিরলেন দনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
ভানুকা রাজাপাকশে এবং অধিনায়ক দাসুন শানাকা মিলে লঙ্কানদের আশা দেখাচ্ছিলেন এরপর। ভানুকার বিদায়ে সে আশাও ভাঙে। এরপর শ্রীলঙ্কার অর্ধেক ইনিংস হাওয়া হয়ে যায় ৭৪ রান তুলতেই। ভানুকাকে বিদায়ের পর বার্নার্ড শল্টজের শিকার হন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। আর লঙ্কানদের আশাটা তাতে গিয়ে ঠেকে শানাকায়। সেই শানাকাও প্রথম ইনিংসে দারুণ খেলা ফ্রাইলিংকের শিকার হন।
পরের দুই ওভারে প্রমোদ মাদুশান ও চামিকা করুণারত্নেও বিদায় নেন। এবং তাতে দুই অঙ্কে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। শেষ দিকে মাহীশ থিকশানার ব্যাটে সে শঙ্কা দূর হয়েছে বটে কিন্তু তার এক ছক্কায় গরা ১১ বলে ১১ রানের ইনিংস লঙ্কানদের জয়ের দেখা পাইয়ে দিতে পারেনি। শুধু ব্যবধানটাই যা কমাতে পেরেছে। ১৯তম ওভারে ডেভিড ভিসার বলে দুষ্মন্থ চামিরা ক্যাচ তুলে দিতেই উল্লাসে মাতে নামিবিয়ানরা।
(ঊষার আলো-এফএসপি)
