ঊষার আলো ডেস্ক : নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জের চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনসহ কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার এক অনুসারী।
মামলার বাদী আবুল হাশেম (৫৮), বসুরহাট পৌরসভার বৌদ্দনীর বাড়ির ফজলের রহমানের ছেলে এবং তিনি এলাকায় কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, ক্ষতি সাধনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আসামি ওই চার সাংবাদিক হলো, প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সভাপতি ও ডেইলী অবজারভার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি হাসান ইমাম রাসেল, দৈনিক সমাচার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি প্রশান্ত সুভাষ চন্দ, অনলাইন পোর্টাল প্রিয় নিউজের চিফ রিপোর্টার ও ডেইলী নিউজ টুডে কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন মজনু, দৈনিক সকালের সময় নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি আমির হোসেন।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.রবিউল হক মামলার দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সাংবাদিক হাসান ইমাম রাসেল জানান, গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া ও হাসপাতাল গেইট এলাকায় দু’দফায় সংঘর্ষ হয়। ঘটনার দু’দিন পর ৭ এপ্রিল রাতে বিস্ফোরক আইনসহ আরও কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে কাদের মির্জার অনুসারী আবুল হাশেম সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতকে (৩৫) প্রধান আসামি করে এবং ৪জন সাংবাদিক সহ ১৩৫জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করে। তিনি আরো জানান, শুধুমাত্র প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে গণমাধ্যম কর্মিদের ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী হাশেম জানান, তিনি শুধু মামলায় বাদীর স্বাক্ষর দিয়েছেন। আসামি কাকে করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না।
জানা যায়, একই ঘটনায় কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ গ্রুপও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একই ধারায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ১০ মার্চ রাতে মির্জা অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান স্থানীয় তিন সংবাদিককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
(ঊষার আলো-এমএনএস)