ঊষার আলো ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমানের গুলি চালানোর কোন নজির নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার বানানো হয়েছিল। তবে, সে কখনো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে এরকম কোনো নজির নাই। এটি কেউ দেখাতেও পারবে না। কর্নেল রশিদ এবং ফারুক বিবিসিতে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলো সেখানে তারা স্বীকার করেছে, জিয়াউর রহমান এই খুনিদের সঙ্গে ছিল।’
আজ (৩১ আগস্ট) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বদৌলতেই জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছিল। পাকিস্তান থাকলে সে মেজরই থেকে যেতো। ‘মেধাবী ছাত্রদের অস্ত্র, মাদক এবং অর্থ তুলে দিয়ে বিপথে নিয়ে গেছে জিয়াউর রহমান। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে হুমকি দেয় আওয়ামী লীগকে মোকবিলা করতে তার ছাত্রদলই যথেষ্ট। এমনকি তিনিও ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের পায়ে পায়ে শত্রু আছে। আমাদের চলার পথ মসৃণ না, কন্টকাকীর্ণ। সে কথা মাথায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও সৎ পথে থাকলে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোলে সফলতা আসবেই। তবে, সত্যের পথ সব সময় কঠিন থাকে। এই কঠিনকে সাথে করে যারা এগিয়ে যেতে পারে, তারাই সাফল্য আনতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৭৫ এর পর বঙ্গবন্ধু নামটা মুছে ফেলা হয়েছে। প্রচার করা হতো বিকৃত ইতিহাস। নিষিদ্ধ ছিল জয় বাংলা স্লোগান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আদর্শ নিষিদ্ধ করা হয়। এমনিতেই দেশ স্বাধীন হয়নি। আজকে আর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছা যাবে না। স্বাধীনতার ইতিহাস মুছা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, আমার দেখা নয়া চীন ও গোয়েন্দা ডায়েরী ৭ খণ্ডে প্রকাশ করেছি। সেখান থেকেই বাংলাদেশের ইতিহাস ও সত্য বেরিয়ে আসে।’
(ঊষার আলো-আরএম)