UsharAlo logo
সোমবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় বাড়ছে ক্যাপসিক্যামের চাষ

usharalodesk
মার্চ ১১, ২০২১ ৬:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : বিদেশি সবজি ক্যাপসিক্যামের বাণিজ্যিক আবাদে সাফল্য পেয়েছেন পাবনার চাষিরা। বাজারে চাহিদা থাকার দরুণ মিলছে ভালো দামও। কাজেই জেলায় দিন দিন বাড়ছে ক্যাপসিক্যামের আবাদ।

পাবনার সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের একজন কৃষক নজরুল ইসলাম। উচ্চশিক্ষিত এ কৃষক প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি দুই বছর ৪ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক আবাদ করছেন ক্যাপসিক্যামের। প্রথম দিকে অভিজ্ঞতা না থাকায় ফলন ভালো না হলেও দমে যাননি নজরুল। ইন্টারনেট হতে আবাদের বিষয়ে জেনেছেন। সরেজমিনে গাজীপুরে গিয়ে আবাদ দেখে এসে নিজের ভুলত্রুটি শুধরে নিয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার দরুণ চলতি মৌসুমের শুরুতে মিলেছে ভালো ফলন। গত বছর ক্যামসিক্যাম ক্ষেতে আগাছার কারণে ফলন তেমন ভালো হয়নি নজরুলের, খরচও বেশি হয়। সেই ঝামেলা এড়াতেই এবার জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে পলিথিন বিছিয়ে চারা রোপণ করেন তিনি। তাতে তার কাজ হয়েছে। নজরুলের হিসাবে, প্রতিটি গাছ হতে গড়ে এককেজি ফলন পেলেও তার লাভের অঙ্ক ৪ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

জেলা কৃষিবিভাগের এক তথ্যমতে, পাবনা জেলায় এই বছর ৫ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিক্যামের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তবে হেক্টরপ্রতি ৪০ মেট্রিক টন ফলন পাবেন কৃষকরা।

নজরুল ইসলাম জানান, তার ক্ষেতের ক্যামসিক্যাম ঢাকার বাজারে পাঠাচ্ছেন। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে চাইনিজ রেস্টুরেন্টেও পাঠাচ্ছেন। ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলিতে এর ভালো চাহিদা। স্থানীয়রা বাজারেও এটি বিক্রি হচ্ছে। পাবনায় এ সবজি তেমন কেউ আবাদ করেন না। কিন্তু আস্তে আস্তে আবাদ বাড়ছে।

নজরুলের এমন একটি সাফল্যে ক্যাপসিক্যাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন আশপাশের গ্রামের চাষিরাও। রাশেদুল ইসলাম, মকবুল হোসেন জানান, অল্প জমিতেই বেশি আবাদ করা যায়। তাতে লাভবান হচ্ছে তারা। তেমন খরচ নেই, পরিচর্যাও বেশি একটা করতে হয় না। যার কারণে সবার মাঝে ক্যাপসিক্যাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে। তারা আরও বলেন, দেশের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং তারকা হোটেলে ক্যাপসিক্যামের চাহিদা রয়েছে। পাইকাররা ক্ষেত হতে কিনে নিয়ে যান। জেলার মাটি এবং আবহাওয়া ক্যাপসিকাম চাষের উপযোগী। কাজেই জেলায় আবাদের পরিসর বাড়ছে।

এই বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপপরিচালক আব্দুল কাদের জানান, ক্যাপসিক্যাম সম্ভাবনাময় একটি ফসল। কৃষক যদি প্রতিকেজি ১০০ টাকা দরেও বিক্রি করতে পারেন, তাহলে প্রতি এক একর জমি হতে কয়েক লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। তিনি আশা করেন, পাবনার কৃষকরা এ সবজি চাষ করে লাভবান হবেন।

উপপরিচালক আব্দুল কাদের ক্যাপসিক্যামের আবাদ বাড়াতে কৃষি বিভাগ কৃষকের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ।

(ঊষার আলো-এফএসপি)