ঊষার আলো রিপোর্ট : মেয়েটির বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পদার্পণ করা মেয়েটি সম্পর্কে জড়ান ১ যুবকের সঙ্গে। চেহারায় আভিজাত্য আর চলনে-বলনে আধুনিক যুবকটি যে কতটা বেপরোয়া আর জঘন্যতা তখনো অজানা ছিল আবেগী মেয়েটির কাছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে ছেলেটির কুৎসিত চেহারা মেয়েটির সামনে আসে। মেয়েটিকে বাধ্য করা হয় অনৈতিক সম্পর্কে জড়াতে। শুধু একা নন, বন্ধুদের সঙ্গেও একই সম্পর্কে বাধ্য করা হয় তাকে। এই ঘটনায় জড়িত ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মাস্টারমাইন্ড সেই যুবক পাড়ি জমিয়েছে কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য।
২০১৬ সালে হোসাইন মোহাম্মদ ফাহাদ নামের এই যুবকরে সঙ্গে পরিচয় অর্পার নামের মেয়েটির সাথে (এটি তার ছদ্মনাম)। তখন অপার্র বয়স মাত্র ১৪ বছর। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ছেলেটি মেয়েটিকে নানারকম স্বপ্নে দেখাতে লাগে।
একটি সময় মেয়েটিকে অনৈতিক সম্পর্কে করতে বাধ্য করে ফাহাদ। ধারণ করে রাখে ভিডিও। ধীরে ধীরে তার কুৎসিত চেহারা সামনে আসতে শুরু করে মেয়েটির সামনে।
মেয়েটির কাছ থেকে জানা যায়, সে একদিন তার আপন মামার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। তখন কিছু ছবি সে তুলে রাখে।
এখানেই ক্ষান্ত হননি ফাহাদ। স্নাতক শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য ২০১৭ সালের শেষের দিকে কানাডায় পাড়ি জমায় সে। সেখান থেকে অর্পাকে ফাহাদ তার ১ মামার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করতে চাপ দিতে শুরু করে। অন্যথায় ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
মেয়েটির আরো বলেছে, সে আমাকে বলে আমি যেহেতু বাংলাদেশে নাই তুমি অন্য কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যাও সেটি আমি ভিডিও কলে দেখব, যেহেতু আমি ওখানে নেই। আমি যদি তার এ কথা না শুনি তার ফ্যান্টাসিগুলো পূরণ না করি তাহলে সব জায়গাতে এগুলো ছড়িয়ে দেবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার জানান, ফাহাদের সেই মামা সিফাতকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
পর্নোগ্রাফি, ধর্ষণ ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলাও করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। কানাডায় থাকা ফাহাদকে দেশে ফেরাতে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা চিন্তা করাহচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)