ঊষার আলো রিপোর্ট : পরকীয়া সম্পর্ক জেনে ফেলায় স্বামীকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে স্ত্রী। ভাড়া করে কিলার। খুনি কৌশলে দেখা করে টার্গেট করা ব্যক্তির সঙ্গে। সেখানে তাকে গুলিও করেন তিনি। কোনোমতে প্রাণে বেঁচে ফেরেন ভুক্তভোগী দ্বারস্থ হয় পুলিশের। হত্যার পরিকল্পনাকারী স্ত্রী, ভাড়াটিয়া খুনিসহ ৩ জনকে আটকের পর এমনটা দাবি করেছে পুলিশ। তারা বলছে, এর জন্য দায়ী পারিবারিক কলহ আর সামাজিক অবক্ষয়।
৩১ ডিসেম্বর ২০২০। রাত ১২টার কিছুক্ষণ পর রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর ১ বাড়ির মালিক ইফতেখারুল আলমের কাছে খিলগাঁও যাওয়ার রাস্তা জানতে চান ১ ব্যক্তি। আগুন্তুক বন্ধুর খোঁজে এসে তাকে না পেয়ে ইফতেখারের বাসায় রাত্রিযাপন করার অনুরোধও করেন। অসম্মতি জানান ইফতেখারুল।
পরের দিন সকালে ওই একই ব্যক্তি আবারও দেখা করে ইফতেখারুলের সঙ্গে। কথা বলতে বলতে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় পেছন থেকে পরপর ২টি গুলি করে তাকে। ২ টিই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ছুরিকাঘাতে আহত হন ইফতেখার। গুলি করার পর পালিয়ে যেতে দেখা যায় ২ জনকে।
এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মামলার পর তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে প্রথমে ইফতেখারুলের স্ত্রী জামিলা আক্তার অর্পাসহ ২ জনকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে আটক করা হয় তানভীর তনয়কে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল যেটি দিয়ে গুলি করা হয়েছিল।
পুলিশ বলছে অর্পা আর তানভীরের পরকীয়ার সম্পর্ক জানতে পারে অর্পার স্বামী। তাই তাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১ লাখ টাকা দিয়ে খুনি ভাড়ার পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা দেয়া হয় পিস্তল কিনতে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, মূলত মেরে ফেলার জন্য প্রথমে ৪০ হাজার টাকা দেয়। আরো একটা পরিকল্পনা ছিল যদি রাজুকে মেরে ফেলতে পারে তাহলে তার মোটরসাইকেলটি নূরকে দিয়ে দিবে। তারা নূরকে আরো প্রলোভন দেখায় (রাজু) হত্যার পর ১ লাখ টাকা দেবে। এ ঘটনার জন্য পারিবারিক কলহ আর সামাজিক অবক্ষয়কে দায়ী করেছে পুলিশ।
(ঊষার আলো-এম.এইচ)