UsharAlo logo
শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির

usharalodesk
নভেম্বর ২৬, ২০২৪ ১২:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের বিষয়টি মানতে পাড়ছে না বিজেপি।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল জানিয়েছে, চিন্ময়ের মুক্তি দাবি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। এমনকি তাকে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ সীমান্ত সনাতনীরা অবরোধ করবে বলেও হুমকি দিয়েছেন রাজ্যটির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার রাতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। এমনকী বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে ইউনূস সরকার গ্রেপ্তার করেছে।

শুভেন্দু আরও বলেন, সোমবার রাতের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে মুক্তি না দিলে আগামীকাল থেকে  সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।

একই সঙ্গে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিসও টানা ঘেরাও অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এই বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে ‘দমন-পীড়ন’ শুরু হয়েছে, তাতে আমরা চিন্তিত, ব্যথিত। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে।

এরপর গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নগরীর কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়। এই ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের নাম রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস।

মামলার আরও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত, নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাস ব্রহ্মচারী, গোপাল দাস টিপু, ডা. কথক দাস, প্রকৌশলী অমিত ধর, রনি দাস, রাজীব দাস, কৃষ্ণ কুমার দত্ত, জিকু চৌধুরী, নিউটন দে ববি, তুষার চক্রবর্তী রাজীব, মিথুন দে, রুপন ধর, রিমন দত্ত, সুকান্ত দাস, বিশ্বজিৎ গুপ্ত, রাজেশ চৌধুরী এবং হৃদয় দাস।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

ঊষার আলো-এসএ