UsharAlo logo
রবিবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের পল্লীতে বিরোধপূর্ন জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাংলা লিংক টাওয়ার নির্মানকাজ অব্যাহত

pial
এপ্রিল ১৭, ২০২২ ৩:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাসদর উপজেলার ষাটগম্ভুজ ইউনিয়নের সদুল্যাপুর এলাকায় বিরোধপূর্ন জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা স্বত্তেও বাংলা লিংক মোবাইল কোম্পানী টাওয়ার নির্মানের কাজ চলমান রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জোর দখলকারীরা আইন-আদালত কে উপেক্ষা করে র্নিমান কাজ করার বিষয়ে প্রকৃত জমি মালিক দাবীদার সদুল্যাপুর গ্রামের শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বাগেরহাট সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দখলকারিরা প্রভাবশালি হওয়ায় থানা পুলিশ কোন ভুমিকা না নেওয়ায় শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবরে একটি আবেদন করেছেন। একই দিনে তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবরেও আবেদন করেছেন।

একাধিক দপ্তরে দেয়া ওই অভিযোগে বলা হয় সদুল্যাপুর গ্রামের মৃত শেখ আক্কাছ আলীর ছেলে শেখ হাসিবুর রহমান এলাকার কতিথ প্রভাবশালী হওয়ার তার জমির সীমানার পাশে থাকা শেখ মোস্তাফিজুর রহমানসহ তার ভাইদের রাস্তার পাশের ১০ শতক জমি নিজের দাবী করে বাংলালিংক কোম্পানীর সাথে টাওয়ার নির্মানে জন্য চুক্তি করে। জমি নির্ধারনের সময় বিষয়টি জানতে পেরে শেখ মোস্তাফিজুর রহমানসহ তার ভাইয়েরা বাধা দেয় ও বাংলা লিংক কোম্পানীর লোকজন কে বিষয়টি বলেন। কিন্তু কেহই প্রকৃত জমি মালিকদের কথা না শুনে জোর পুর্বক ওই জমিতে টাওয়ার নির্মানের কাজ শুরু করে। এ ব্যাপারে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে শেখ মোস্তাফিজুর রহমান গত ১১ এপ্রিল বাগেরহাট সদর সহকারি জজ আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৮৭/২২ নং দেওয়ানী মামলা করেন।

আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদীর নালিশি আবেদন আমলে নিয়ে ওই দিনই বিবাদীদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অথচ, বিবাদী প্রভাবশালী হওয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই জমিতে বাংলালিংক কোম্পানী তাদের টাওয়ার নির্মানের কাজ অব্যাহত রাখে। বাদী উপায়ন্তর না পেয়ে ১৪ এপ্রিল বাগেরহাট সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারনে বিষয়টি গুরুত্ব না দেয়ায় বাদী আরো হতাশ হয়ে এক পর্যায়ে শনিবার বাগেরহাট পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবরে পৃথকভাবে আবেদন করেন।

অভিযোগকারি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রতিবেদক বলেন আমার ও আমার ভাইদের পৈত্রিক জমিতে জোর করে বাংলা লিংক টাওয়ার নির্মান করছে। বাধা দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়ে নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেলেও প্রতিপক্ষরা প্রভাব খাটিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করছে। এখন আমরা যাব কোথায়?

এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মুহাম্মাদ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, আমি একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব কাগজপত্র নিয়ে আগামি ২৫ এপ্রিল বেলা ১১ টায় আমার কার্য্যলয়ে মিমাংসার জন্য নোটিশ করা হয়েছে।

(ঊষার আলো-এফএসপি)