বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থান করা জাহিদ মীর (৩৫) নামে হত্যা মামলার এক আসামীকে প্রকাশ্য দিবলোকে গুলি করেছে দুবৃর্ত্তরা।
এ ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ জাহিদকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার জুমা নামাজবাদ জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামের সরোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনের রাস্তার উপরে এই গুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কারা কি কারনে জাহিদ মীরকে গুলি করেছে তা শনিবার সকাল পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
তবে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জাহিদ মীর খুলনা মহানগরের বয়রা এলাকার আবুল হোসেন মীরের ছেলে। গত ৮ থেকে ১০ বছর আগে ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের শহীদ মোল্লার মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে ফকিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার রায় শনিবার সকালে বলেন, শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর কাকডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ মীর স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে ওৎ পেতে থাকা ৩/৪ জনের একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দল সরোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে পৌছলে জাহিদ মীর নামে এক মাছের ঘের ব্যবসায়িকে এলোপাতাড়ি গুলি করে মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। জাহিদের শরীরের মাথা, পেট, পিঠ ও পাসহ একাধিক স্থান গুলিবিদ্ধ হয়ে রয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তার স্থায়ী ঠিকানা খুলনা মহানগরের বয়রা এলাকায়। জাহিদ ফকিরহাটে শ্বশুর বাড়িতে থেকে মাছের ঘের এবং খুলনাতে জমি কেনাবেচার ব্যবসা করেন।
সে একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল-হাজত থেকে গত ২ মাস আগে জামিনে বের হয়ে শ্বশুররবাড়ী অবস্থান করছিল বলে পুলিশ সুত্র জানায়। এ ছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের পর কারা কি কারনে তাকে গুলি করল তা বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
(ঊষার আলো-এফএসপি)