বাগেরহাট প্রতিনিধি : মহামারি করোনা প্রতিরোধে সরকারের দেয়া কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যেও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় অষ্টম শ্রেনীতে পড়া এক মেয়ের বিবাহের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে এ বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে বুধবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মেয়ের পিতাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন শরণখোলায় সদ্য যোগদানকারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত। তিনি এ সময় উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করার সাথে সাথে বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলে তাকে অবহিত করার অনুরোধ করেন। তবে ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বর পক্ষ পালিয়ে যায়। ঘটনা বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন জানায়, স্থানীয় একটি কওমী মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ওই ছাত্রীর বিবাহের আয়োজন করে পরিবার। তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। বিষয়ঠি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসন বুধবার দুপুরে ওই বাড়ীতে হাজির হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, আমরা ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেছি। কিশোরীর পিতাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।ওই কিশোরী প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না এমন মুসলেকাও দিয়েছেন ওই কিশোরীর পিতা। কিন্তু আমরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই বড়পক্ষ পালিয়ে যায়।
(ঊষার আলো-আরএম)