আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : বাগেরহাটে পরিবারের অমতে ভালোবেসে বিবাহের মাত্র ৪ মাসের মাথায় দিপ্তী মন্ডল (১৮) নামের একজন কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
স্বামী, শ্বাশুড়ী ও ননদের ধারাবাহিক নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে আশ্রয়স্থলে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে গত শবিবার রাতে সে আত্মহত্যা করে। এমন দাবী করছে দিপ্তীর পিতা পরিবার। চিতলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ দিপ্তীর মরদেহ উদ্ধার করে রবিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মাস আগে দিপ্তী মণ্ডল পরিবারের অমতে ভালোবেসে বাগেরহাট সদর উপজেলার সাজোখালী গ্রামের রণজিৎ পাত্রের ছেলে নয়ন পাত্র (২৬) কে বিয়ে করেন।
এরপর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এই নির্যাতন সইতে না পেরে গত ৩০ নভে¤॥^র দিপ্তী মন্ডল পালিয়ে চিতলমারী সরকারী বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের লাইব্রেরিয়ান সুচিত্রা রানীর বাসায় আশ্রয় নেয়। দিপ্তী মন্ডল ওই কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী ও বাগেরহাট সদর উপজেলার হালিশহর গ্রামের তারক মন্ডলের মেয়ে। দিপ্তী মণ্ডলের মা কাঞ্চন মণ্ডল ও দিদিমা পারুল বিশ্বাস বলেন শাশুড়ি, ননদ ও স্বামী নির্মমভাবে নির্যাতন করতো দিপ্তীকে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সইতে না পেরে দিপ্তী ঘর ছেড়েছে এবং ফাঁস দিয়েছে।
লাইব্রেরিয়ান সুচিত্রা রাণী মল্লিক বলেন, দিপ্তী আমার প্রতিবেশী ও কলেজের মেধাবী ছাত্রী ছিলো। শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে এ পথ বেছে নিয়েছে। এ ছাড়া বাবা তেজ্য করায় সেখানেও সে আশ্রয় পায়নি। এদিকে ঘটনার পর থেকে দিপ্তীর স্বামী নয়ন ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক এবং নয়নের মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায়, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। চিতলমারী থানার ওসি এএইচএম কামরুজ্জামান খান বলেন, খবর পেয়ে কলেজছাত্রী দিপ্তী মণ্ডলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠোনো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)