বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় জমিজমা বিরোধে প্রতিপক্ষের দুই শিশুকে হত্যার অভিযোগে বাচ্চু মৃধা নামের এক আসামীকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত। চাঞ্চল্যকর এ মামলার অপর আসামী খোকন খান বেকসুর খালাস পেয়েছে।
বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নুরে আলম সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষনা করেন। এসময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
আদালত সুত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবারনে ও রায়ে প্রকাশ, ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের মোঃ লোকমান হোসেন বাবুর দুই শিশু সন্তান মিরাজুল (৯) ও ইমন ওরফে রিয়াজুল (৭) কে আসামীরা হত্যা করে বাড়ীর পাশে পুকুরে ফেলে রাখে। নিহত শিশুদের দাদীকে ধর্ষনের চেষ্টায় বাধা দেয়ায় দুই শিশুকে হত্যা করে বলে শিশুদের পিতা লোকমান হোসেন বাদী হয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় ৫ জন কে আসামী করে একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে থানার এসআই ঠাকুর দাস, পরিদর্শক তদন্ত তারক বিশ্বাস ও পরবর্ত্তিতে সিআইডির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১০ জুলাই বাচ্চু মৃধা ও খোকন খান নামের দুই আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ মামলার ২০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আসামী পায়লাতলা গ্রামের মৃত বারেক মৃধার ছেলে বাচ্চু মৃধাকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। আর অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামী পাশ^বর্ত্তি সমাদ্দার গ্রামের মৃত আছমত আলী খানের ছেলে খোকন খান কে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি রনজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, মামলায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় বাচ্চু মৃধাকে আমৃত্যুকারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। অপর আসামী কে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। এ দিকে রায় ঘোষনার পর আদালতে উপস্থিত মামলা বাদী লোকমান হোসেন বাবু বলেন আমার দুটি সন্তানকে একজনে হত্যা করতে পারে নাই। রায়ে খোকন কে খালাস দেয়ায় আমরা সন্তষ্ট হতে পারি নাই। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
(ঊষার আলো-এফএসপি)