UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে পর্তুগালে পাঠানোর নামে প্রতারনা করে অর্থ আত্মসাত, আদালতে মামলা দায়ের, তদন্তে পিবিআই

pial
জুলাই ২৪, ২০২২ ৫:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চোমরা এলাকায় আত্মীয়তার সুত্র ধরে এক যুবককে কর্মসংস্থানের জন্য পর্তুগালে পাঠানোর কথা বলে দফায় দফায় মোট ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাত করার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নালিশি এ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন।
মামলায় বিদেশে লোক পাঠানোর নামে অর্থ নিয়ে প্রতারনা কারী আসামীরা হলেন, খুলনা খালিশপুর নয়াবাটিক্লাব সংলগ্ন হাসিনা মঞ্জিলের ডাঃ এমএ মতিনের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭) তার মাতা হাসিনা মতিন ও তাদের আত্মীয় যশোর রুপদিয়া বাজার এলাকার নরেন্দ্রপুর মাস্টারপাড়ার আব্দুল জলিল মোল্লার ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন মোল্লা।

মামলার বাদী বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চোমরা গ্রামের রেজাউল হাওলাদারের স্ত্রী সালমা বেগম তার নালিশি অভিযোগে বলেন, আত্মীয়তার সুবাধে মামলার প্রধান আসামী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রায়ই বাদীর বাড়তে আসা যাওয়া করে। এমতাবস্থায় বাদী সালমা বেগম তার ছেলে সাব্বির হাওলাদারকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে। তখন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার মাতা হাসিনা মতিন বলে আমাদের আত্মীয় আছে পর্তুগালে পাঠানো যাবে। সে অনুযায়ী যশোর রুপদিয়ার আলাউদ্দিন মোল্লার সাথে যোগসুত্র করে সাব্বির হাওাদারকে পর্তগালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ভিসা ও চাকুরির জন্য গত ১ মার্চ-২০২২ তারিখ প্রথমে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার মায়ের কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে আসামী আব্দুল জলিল মোল্লার নামে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৫২ হাজার টাকার, ৭০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকাসহ আসামীদের নামীয় ডাচ বাংলা ব্যংক, বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে দফায় দফায় মোট ১৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।

গত ২৫ মে সাব্বিরের ভিসা ও প্লেনের টিকিট নিতিশ্চ করার কথা বলে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্র। এ অবস্থায় সালমা বেগম ও তার ছেলে সাব্বির হাওলাদারসহ স্বজনরা হতাশ হয়ে ঢাকা থেকে ফিরে এসে আসামীদের সাথে যোগাযোগ করারা চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের শ^শুর বেল্লাল হাওলাদার আত্মীয়তা বজায়ে রাখতে সব কিছু ভুলে গিয়ে টাকা ফিরিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিলেও আসামী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এরপর অনেক দেনদরবার করেও টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে সালমা বেগম বাদী হয়ে গত ৬ জুলাই বাগেরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪০৬/৪২০ দঃবিঃ ধারায় মামলা করেন। আদলতের বিজ্ঞ বিচারক নালিশী অফিযোগটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পিবিআইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। যা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তদন্ত কার্য্যক্রম চলমান রয়েছে বলে বাগেরহাট পিবিআই সুত্র জানায়।

(ঊষার আলো-এফএসপি)