ঊষার আলো রিপোর্ট : নিজেদের ‘গুছিয়ে নেওয়ার’ লক্ষ্যে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনার পর ‘বিয়ে জন্য’ ঢাকার ধামরাই থেকে চট্টগ্রামে পালিয়েছেন ৬ কিশোর কিশোরী। চট্টগ্রামে গিয়ে তারা পুলিশের কাছে ধরা পড়ে তাদের বিয়ে সংক্রান্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
পুলিশের কাছে আটককৃত ৬ কিশোর কিশোরী দাবি করে বলেন, ১ বান্ধবীকে বাল্যবিয়ে থেকে বাঁচাতে নিজেরাই পালিয়েছেন পছন্দের ছেলেদের সাথে। আটককৃত ৩ কিশোরীর ২ জন ষষ্ঠ, একজন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আর ৩ আটককৃত ৩ কিশোরের ২ জন নবম, ১ জন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ১২ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকা থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নোবেল চাকমা বলেন, যে মেয়েটির বিয়ে তার বয়স ১২ বছর। ক্লাস ফাইভের ছাত্রী। ছেলের বয়স ১৫-১৬ বছর। তারা পড়ালেখা করে না। তাদের সঙ্গে আসা ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। তাদের মধ্যে ৩ জনের বয়সই ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। ১ ছেলের বয়স একটু বেশি ১৭-১৮ বছর। বাড়ি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায়।
পুলিশের আরও বলেন, ৩ জনই প্রেমিক-প্রেমিকা। তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে (শুক্রবার) দুপুরে চট্টগ্রামে আসেন। যে ২ জনের বিয়ে তাদের জন্য পোশাকও কেনা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা রেলস্টেশন এলাকায় গিয়ে তাদের ধরে থানায় নিয়ে আসি। তাদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। উনারা থানায় আসছেন। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
পুলিশ আরও বলেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাদের কাছে ছিল মাত্র ৬ হাজার টাকা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসতেই তাদের বেশকিছু টাকা খরচ হয়ে গেছে। রাতে অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরেও পরিচিত ব্যক্তির সন্ধান না পেয়ে অটো চালকের কাছ থেকে রাতযাপনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সহায়তা চায় তারা।
ওই অটোচালক তার নিজের অটো ভাড়া বাবদ সাড়ে ৬০০ টাকা নিয়ে ফ্রি-পোর্ট এলাকায় একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ১ নারীর মাধ্যমে রাতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। একটি বাসায়, যার জন্য ওই নারীকে তাদের দিতে হয়েছে ৭০০ টাকা ঘর ভাড়া।
আবেগের বশে কিশোর-কিশোরীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছে বলে মন্তব্য করেন এসি নোবেল চাকমা বলেন, ‘তাদের বয়স কম। চট্টগ্রামে তাদের কোনো আত্মীয়স্বজন, চেনা-পরিচিত লোকজনও নেই। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারত তাদের সাথে। এই বয়সে বিয়েও আইনসিদ্ধ নয়। সে জন্য আমরা তাদের থানায় নিয়ে এসেছি।
(ঊষার আলো-এম.এইচ)