UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যারিস্টার মওদুদের প্রয়াণ

usharalodesk
মার্চ ১৬, ২০২১ ৯:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার জুনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সন্ধ্যায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু জানান, মওদুদ আহমদ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. চার্লস ত’র অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সাথে স্ত্রী হাসনা মওদুদ আছেন।
খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির জানান, গত ১ ফেব্রæয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি প্লে­নে তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর অসুস্থ হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর ২০ জানুয়ারি তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনা হয়। ২১ জানুয়ারি আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ১ ফেব্রæয়ারি তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং মাতা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
শিক্ষা
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাস করে ব্রিটেনের লন্ডনের লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ইয়াহিয়া খান আহুত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন।
রাজনীতি
১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫’র নির্বাচনে তিনি আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
এক বছর পর তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। এরপর ৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৯০ সালে৬ ডিসেম্বর ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তখন বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হন।

 

ঊষার আলো-আরএম