ঊষার আলো ডেস্ক : বয়সের সাথে সাথে সকলেরই বলিরেখা চোখের নিচে, কপালে কিংবা মুখে দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা হতে বাঁচতে তেল অসাধারণ ফল দেয়। এটি ত্বকের কোলাজেন নামক কলারের বৃদ্ধি ঘটায়। কোলাজেন তন্তু জাত প্রোটিন কোষগুলোকে যুক্ত করে থাকে। এটি বেড়ে গেলে ত্বকের কোষের শুকিয়ে যাওয়া ঝুলে থাকা হ্রাস পায়।
তেল যে শুধু ত্বককে মসৃণ করে তা নয়, প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে থাকে এটি। এর ফ্যাট লোমকূপ বন্ধ করে ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।
অলিভ অয়েল;
তেলের মধ্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হল অলিভ অয়েল। এই তেল ভিটামিন ই-তে পরিপূর্ণ যা ত্বক, নখ ও চুলে ব্যবহার করা যায়। এর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
সরষের তেল;
সরষের তেলে রয়েছে অয়েলিক ও লিনোলিক অ্যাসিড যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে। এটি শরীরকে চাঙা করে তোলে এবং ত্বকের দীপ্ততা বৃদ্ধি করে। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হওয়ায় ফলে এটি ত্বককে চর্মরোগ হওয়া থেকে বাঁচায় এবং ত্বকের রক্ত সঞ্চালনও বাড়ায়।
নারিকেল তেল;
নারিকেল তেলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা সব ধরনের মুক্ত মৌলকে নিয়ন্ত্রণ করে ও বলিরেখাকে বাধা দিয়ে থাকে। এই তেল ব্যবহারে ত্বক আরাম পায় এবং এনজাইমকে নিয়ন্ত্রণ করে ও লাল ছোপ ছোপ দাগসহ চুলকানি থেকে রক্ষা করে থাকে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে নিজস্ব একটা আর্দ্রতা তৈরি হয় যা ত্বককে নরম রাখতে সাহায্যে করে। এটি সারাদিন ত্বকে আর্দ্রতা এবং পুষ্টি ধরে রাখে।
এছাড়াও গোসলের আগে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ত্বকে যে কোনও তেল মেখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। অলিভ অয়েল ও কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেলের সাথে এক চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব করুন। সরষের তেল ও সামান্য লবণের স্ক্রাব ত্বকের মৃত চামড়া দূর করে ত্বক মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)