UsharAlo logo
শনিবার, ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভ্যানের ব্যাটারির জন্য শফিকুলকে খুন করে মাটিচাপা দিয়েছে তারা!

ঊষার আলো
মার্চ ২০, ২০২১ ৩:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অটোভ্যানের কারণে জীবন চলে গেল ভ্যানচালক শফিকুলের। কয়েকজন মিলে ভ্যান চুরির উদ্দেশ্যে সাড়ে ৫ মাস আগে শফিকুলকে খুন করে মাটি চাপা দেয়। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামুন মিয়া (১৯) ও ছবুর মিয়া (৪৯) নামে ২ মাদকসেবীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। আটককৃতরা টাঙ্গাইলের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা হাসনাত তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছে। মামুন মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের নবগ্রাম গ্রামের চান মিয়ার ছেলে এবং ছবুর মিয়া একই গ্রামের ছেলামত আলীর ছেলে।
জানা যায়, শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন অটোভ্যানচালক। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভ্যান চালাতে সকালে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকে তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। শফিকুলের আত্মীয়রা মস্তামাপুর খেয়াঘাট থেকে তার ভ্যানটি উদ্ধার করে। পরে শফিকুলের চাচা শিপন মিয়া ৩০ সেপ্টেম্বর মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নম্বর- ২২৩৩। গত ৫ মার্চ শফিকুলের মা চম্পা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের নামে থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ০৬। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাসিরুজ্জামান তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ১০ মার্চ মামুন মিয়া (১৯) নামে একজনকে আটক করে। আটককৃত নাসির রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। তারা কয়েকজনে মিলে শফিকুলের অটোভ্যানটি নেয়ার জন্য তাকে অপহরণ করে। হত্যার পর তাকে নবগ্রাম গ্রামে মাটিতে পুঁতে রাখে। অটোভ্যানের ব্যাটারি খুলে রেখে ভ্যানটি মস্তমাপুর খেয়াঘাটে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তারা ব্যাটারি বিক্রি করে দেন। মামুনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার পুলিশ মাটি খুঁড়ে শফিকুলের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে।
১৫ মার্চ এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ছবুর মিয়া (৪৯) নামে আরেকজনকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ১৬ মার্চ আদালতে পাঠানো হলে আদালতের বিচারক ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রিমান্ড শেষে ১৮ মার্চ তাদের আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তারা। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা হাসনাত তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়। তারা শফিকুলের অটোভ্যানটি চুরির উদ্দেশ্যে খুন করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

(ঊষার আলো-এম.এইচ)