মণিরামপুর প্রতিনিধি : বিয়ে করবেন বলে ১০-১২ দিন আগে পারিবারিকভাবে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মেয়ে দেখতে যান আরিফুল ইসলাম (২০)। ছেলে পক্ষের মেয়ে পছন্দ হয়েছে। আরিফুলও মেয়ে দেখে পছন্দ করেছেন। পরে মেয়েপক্ষ এসেছিলেন ছেলে বাড়িতে। সবকিছু দেখেশুনে গেছেন। হঠাৎ বেঁকে বসলেন মেয়েপক্ষ। রাজি হলেন না মেয়ে দিতে। এতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আরিফুল। অবশেষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন বলে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এসব কথা বলছিলেন আরিফুলের চাচা ইদ্রিস আলী।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে পুলিশ তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। বাড়ির পাশে পুকুর ধারে দড়ি পেঁচিয়ে কাঁঠাল গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেন আরিফুল। আরিফুলের বাড়ি মনিরামপুরের খানপুর ইউনিয়নের ফেদাইপুর গ্রামে। তার পিতা সিদ্দিকুর রহমান গাজী সৌদি প্রবাসী। পেশায় আরিফুল ইলেক্ট্রনিক্স মিস্ত্রি ছিলেন।
ইদ্রিস আলী বলেন, মেয়ে পক্ষ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওর মন খারাপ হয়ে যায়। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরে আরিফুল। ভাত খেয়ে রাত দশটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে আমরা ওর ঝুলন্ত লাশ পাই।
মনিরামপুর থানার ডিউটি অফিসার জুবায়ের হোসেন বলেন, আত্মহত্যার ঘটনায় যুবকের মা আসমা বেগম বাদি হয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছেন। মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঊষার আলো-আরএম)