UsharAlo logo
সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মনিরামপুরে বাবাকে আছাড় দিলো ছেলে, চারদিনেও আটক নেই অভিযুক্তরা

usharalodesk
মে ১৮, ২০২১ ৩:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুর প্রতিনিধি : একমাস রোজা রাখার পর শুক্রবার (১৪ মে) সকালে ঈদের নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন হরিহরনগর গ্রামের বৃদ্ধ রজব আলী মোড়ল (৯০)। ওই সময় তুচ্ছ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ছেলে রহমতুল্লাহ মোড়ল পিতা রজব আলীকে মারপিট করেন। সাথে অংশ নিয়েছেন বৃদ্ধের ছোট ছেলে মহসীন মোড়ল। ছেলেদের হামলায় আহত হয়ে দুইদিন হাসপাতালের বেডে ও এখন বাড়িতে বিছানায় পড়ে কাতরাচ্ছেন বৃদ্ধ রজব আলী। ছেলেদের বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি তিনি।
আহত বৃদ্ধ রজব আলী বলেন, বাড়ি ও মাঠ মিলে বেশ কিছু জমির মালিক তিনি। বহুদিন ধরে সেই জমি লিখে দিতে তাকে চাপ দিচ্ছেন দুই ছেলে। ১০ বছর আগে বৃদ্ধ তার স্ত্রীকে হারান। এরপর থেকেই ছেলেরা তাকে জমির দাবিতে নির্যাতন করে আসছেন। এরআগেও দুইবার ছেলেদের বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি বৃদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, স্ত্রীকে হারানোর পর থেকে ছেলেরা আমাকে খেতে দেয় না। স্বামী বিদেশে থাকায় মেঝ মেয়ে হামিরা খাতুন আমার কাছে থাকেন। ছোট মেয়ে জবেদা খাতুনকে একই পাড়ায় বিয়ে দিয়েছি। এই দুই মেয়ে আমাকে দেখাশোনা করেন। ঈদের দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মুরগির খাবার দেওয়া নিয়ে আমার দুই ছেলে রহমতুল্লাহ ও মহাসীন এবং বড় ছেলের বউ রেখা ও তাদের ছেলে মনিরুল মারপিট শুরু করে। চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তারা আমার দুই মেয়ে হামিরা ও জবেদাকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে বড় ছেলে রহমত আমাকে উপরে তুলে আছাড় দেয়। ওইদিন বিকেলে দুই মেয়েসহ মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি হই আমি। আমার ছোট মেয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি শনিবার বাড়ি ফিরিছি। এখন বিছানায় পড়ে কাতরাচ্ছি। চারদিন পার হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বৃদ্ধ বলেন, আগেও দুইবার ছেলেদের বিরুদ্ধ থানায় অভিযোগ করে বিচার পাইনি। এবারও ছোট জামাই আজিজুর রহমান থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমি ছেলেদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে বৃদ্ধের অভিযুক্ত দুই ছেলের বক্তব্য জানা যায়নি।
বৃদ্ধকে মারপিটের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছেন মণিরামপুর থানার এস আই যোগেশ মন্ডল। তিনি বলেন, অভিযোগ অনুযায়ী একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। হাসপাতালের সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। সার্টিফিকেট হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঊষার আলো-আরএম)