UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মা হিসেবে ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েছিলাম, আমার কথা শোনেনি’

ঊষার আলো ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪ ৮:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মাছ মারার জাল চুরির অভিযোগে বাজার থেকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে রেললাইনের ধারে পাইপের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয় তহিদুর রহমানকে। নির্যাতনের খবর পেয়ে মাসহ এলাকাবাসী ছুটে যান। মায়ের সামনেই চুরির অপবাদ সন্তানকে পেটাতে থাকে কয়েকজন।

মা পেটাতে নিষেধ করলে নির্যাতিত সন্তানের সামনে মায়ের বুকে লাথি মেরে দূরে সরিয়ে দেয় তারা। সন্তানের জীবন ভিক্ষা চান মা। তবুও মন গলেনি তাদের। সন্তান যখন ফিরে পেয়েছেন তখন রক্তাক্ত নিথর দেহ। প্রাণ যায় যায়, সেই দেহটিকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টাটুকু করেও বাঁচাতে পারেননি মা। 

দিনাজপুর সদর উপজেলার কাউগা সাহেবগঞ্জ এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চুরির অপবাদে তহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত তহিদুর রহমান দিনাজপুর সদরের কাউগা সাহেবগঞ্জ এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে

স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান আলী বলেন, হোটেলে কাজ করা অবস্থায় তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয়। এলাকাবাসী খোঁজ পেয়ে হাতে পায়ে ধরে তহিদুরকে না মারার জন্য অনুরোধ করলেও তারা শোনেনি। উল্টো যারা অনুরোধ করেছে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাকে নির্যাতন করে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় নিহত তহিদুরের ফুফাতো ভাই শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার সাহেবগঞ্জ হাট মহল্লার তসলিম উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, তার জামাতা জহুরুল হক, চুনিয়াপাড়া গ্রামের মনিরুল মন্ডলের ছেলে ফিরোজ মিয়া, একই গ্রামের মন্টুর ছেলে সুমন এবং গলাহার গ্রামের শামসুলের ছেলে আমুকে।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, তহিদুর হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য গতকাল থেকে অভিযান চলছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।