UsharAlo logo
শুক্রবার, ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মোংলায় প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ইর বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

ঊষার আলো
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ ৩:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোংলা প্রতিনিধি : ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম, জালিয়াতি, পক্ষপাতিত্ব ও এক তরফাভাবে ছেড়া কাটা রেজাল্ট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ তুলে প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ইর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরাজিত প্রার্থী মোঃ মালেক ফরাজী।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মালেক ফরাজী বলেন, উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বর পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি ফজলুর রহমান মল্লিকের মোরগ প্রতীকের সাথে।
সোমবার ন্যাজরিন মিশন কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট চলাকালে দুপুর ২টায় আমার এজেন্ট মোঃ মোসারেফ হাওলাদারের কাছ থেকে ভোটের রেজাল্ট শিটে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ই। এছাড়া বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও সাড়ে তিনটায় ভোট নেয়া বন্ধ করে দেন।
এরপর ভোট গনণার সময় আমার এজেন্টকে আটকে রাখা হয়, ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ভোট নিয়ে আমি আপত্তি জানালে আমার ব্যালট প্রতিপক্ষ ফজলুর রহমান মল্লিকের মোরগ প্রতীকের বান্ডিলের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। রেজাল্ট শিটে কাটাকাটি করে আমার প্রাপ্ত ভোট গোপন করে প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ই প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদারের কাছে আবেদন করলে তিনি আমাকে প্রথমে আশ্বস্ত করে পরবর্তীতে আবেদন খারিজ করে দেন। ইউএনও কমলেশ মজুমদার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার আপত্তি থাকলে তিনি নির্বাচন ট্রাইবুনালে মামলা করতে পারেন।চিলা ইউনিয়নে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকেও ভোট গণণার জন্য আবেদন করা হয়। তিনি আবেদন গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, পুনরায় ভোট গণনা করার আমার কোন একতিয়ার নাই। তিনি এ নিয়ে মামলা করতে পারেন।
আর রেজাল্ট সিটে কাটাকাটির বিষয়ে তিনি বলেন, এর দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের। প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ই বলেন, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, কোথাও কোন ধরণের অনিয়ম করা হয়নি। রেজাল্ট সিট কাটাকাটির বিষয়ে কোন উত্তর না দিয়ে তিনি ফোন রেখে দেন। এরপর বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
(ঊষার আলো-আরএম)