ঊষার আলো ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ৩০ সঙ্গীর দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফরের প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রিমান্ডকৃত ৩০ জন হচ্ছে জাহিদ, ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদ উল তারেক, লিমন ফকির, সালাহউদ্দিন, নাঈম, আরিয়ান রিপন, আব্দুর রউফ, আসাদুজ্জামান, আজাহারুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ, মিজানুর রহমান, সোহেল মৃধা, আজিম হোসেন, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সোহেল, খায়রুল কবির, ফরিদ, সবুজ হোসেন, গোলাম তানভীর, হেমায়েত, মেহেদী হাসান, ইসমাইল, রেজাউল করিম, মোন্তাজুল, কাজী মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান ও রুহুল আমিনকে। গ্রেপ্তার অপর আসামি আশিক নুর অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে কিশোর সংশোধনাগার কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন একই আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম আকন্দ আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
আসমিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম ও তৌফিক শাহরিয়ার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে মতিঝিল থানায় ৫১ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মিন্টু কুমার।
জানা গেছে, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
পুলিশ মিছিলের গতি রোধ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। এসময় মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)