যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল পৌর এলাকার বড়আঁচড়া গ্রামে গভীর রাতে গোয়াল থেকে গরু চুরি করে রাতেই অর্ধেক দামে কসাইয়ের কাছে বিক্রী করে। আর কসাই সেই গরু রাতে জবাই করে ভোরে বাজারে তোলে মাংস বিক্রী করার জন্য। এ ঘটনায় কসাইসহ চোর জনতার হাতে ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে চোরের সাথে কসাইয়ের এমন যোগসাজশে একটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযুক্ত গরু চোর বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামের সুবাসের ছেলে শিমুল ও চোরায় গরু ক্রেতাতে সহযোগী মাংস বিক্রেতা বেনাপোলের পাটবাড়ি গ্রামের সিরাজ কসাইয়ের ছেলে সেলিম কসায়।
গরুর মালিক একই গ্রামের সাজুল সরদার জানান, রাতে সেহেরি খাওয়ার পর তিনি গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখতে পায় তার একটি গরু নাই। পরে তিনি স্বজনদের নিয়ে এলাকায় খুঁজতে বের হয়। এক পর্যায়ে লোক মুখে খবর পেয়ে দেখতে পান বেনাপোল পৌরসভার নির্জন এলাকায় সেলিম কসাই গরুটি জবাই করছে। তিনি চামড়া দেখে নিজের গরু সনাক্ত করেন। এ সময় কসাই সেলিমকে ধরলে সে স্বীকার করে বড় আচড়া গ্রামের সুবাসের ছেলে শিমুলের কাছ থেকে রাতে ২৫ হাজার টাকায় গরুটি কিনেছেন। চোরদের সাথে গরু ক্রেতাদের সখ্যতা আছে বলে অভিযোগ তোলেন গরুর এ মালিক ও এলাকাবাসী।
প্রতিবেশিরা জানান, দেখতে ভদ্র লোকের মত হলেও গরু চোর শিমুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের অভিযোগ। বাংলাদেশ সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ নকসা দলিল ভারতে পাচার কালে দুই বছর আগে শিমুলের বড় ভাই পলাশকে বিজিবি সদস্যরা আটক করে পুলিশে দেয়। এছাড়া পরিবারের অনান্যরা সবাই মদ ব্যবসার সাথে জড়িত। ভারত সীমান্ত সংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় প্রশাসনের এক শ্রেনীর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সুবিধা দিয়ে একের পর এক এ পরিবারটি রাষ্ট্রদ্রোহীসহ নানান অপরাধমুলক কাজ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।
পোর্টথানার এসআই রোকনুজ্জামান জানান, গরু চুরি করে জবাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারে গিয়ে খোজ খবর নেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)